ইন্দোনেশিয়ায় সাগরে বিধ্বস্ত বিমানের ব্ল্যাক বক্সের অবস্থান শনাক্ত হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, ব্ল্যাক বক্সের ওই এলাকাতেই বিমানটির সন্ধান পাওয়া যাবে। এখনো বিধ্বস্ত বিমানটির আরোহীদের খুঁজতে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা। ৬২ আরোহীকে খুঁজতে এখন কাজ করছেন ২ হাজার ৬০০ কর্মী। তবে কোনো আরোহীর জীবিত থাকার সম্ভাবনা একেবারেই ক্ষীণ।
এদিকে বিধ্বস্ত বিমানের রাইথ উইনদানিয়া নামে এক যাত্রীর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেয়া পোস্ট ভাইরাল হয়েছে। রাইথ তার দুই সন্তান নিয়ে বিমানে ওঠার পর ইন্সটাগ্রামে তার দুই সন্তানকে নিয়ে হাস্যোজ্জল পোস্ট দেন। ক্যাপসনে তিনি লেখেন ‘বাই বাই ফ্যামিলি, আমরা এখন বাড়ি যাচ্ছি।’ ছবি পোস্ট করার কয়েক মিনিট পরেই সমুদ্রে বিধ্বস্ত হয় তাদের বহনকারী বিমানটি।
রাইথের ভাই ইরফানসিয়াহ রিয়্যান্তো তার বোনের পরিবারের একটি ছবি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করে লিখেছেন: ‘আমাদের জন্য প্রার্থনা করুন।’
এদিকে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো জানাচ্ছে, বিমানের সন্ধান না মিললেও সাগরের এখানে-সেখানে ভেসে উঠছে দেহাবশেষ, জামাকাপড় ও লাইফ জ্যাকেটসহ নানা জিনিসপত্র। হেলিকপ্টার ও জলযান নিয়ে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছেন কর্মীরা। অনেক মৃতদেহের খণ্ডিত অংশ মিলেছে।
শনিবার (৯ জানুয়ারি) জাকার্তা থেকে পনতিয়ানাক যাওয়ার পথে সাগরে বিধ্বস্ত হয় ওই বিমান। এতে ১২ ক্রু ও ৫০ জন যাত্রী ছিলেন। সবাই ইন্দোনেশিয়ার নাগরিক।
স্থানীয় সময় দুপুর আড়াইটার দিকে জাকার্তা থেকে ৬২ আরোহী নিয়ে পশ্চিম কালিমান্তান প্রদেশের উদ্দেশে রওনা হয় বোয়িং ৭৩৭-৫০০ বিমানটি। কিন্তু উড্ডয়নের চার মিনিট পরেই বিমানবন্দর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে লাকি দ্বীপের কাছাকাছি কোনো এলাকায় সাগরে বিধ্বস্ত হয় শ্রীবিজয়া এয়ারলাইনসের বিমানটি।