আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের সাত মাস পেরিয়ে গেলেও নতুন ৮ তলা ভবনের ২৫০ শয্যা হাসপাতালের সুফল পাচ্ছে না শেরপুরের প্রায় ১৬ লাখ মানুষ। শুধু কাগজে-কলমেই রয়ে গেছে হাসপাতালটির কার্যক্রম। ফলে উন্নত চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে মানুষ।
সিভিল সার্জনের দাবি, হাসপাতালটি উদ্বোধন হওয়ার পর সীমিতভাবে চালু হলেও পরবর্তীতে কোভিড-১৯ ডেডিকেটেড হাসপাতাল করায় সাধারণ রোগীরা সাময়িক সমস্যা পোহাচ্ছেন। তবে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা বলছেন, হাসপাতালটির উদ্বোধনের পর মাত্র কয়েক দিন আউটডোরে দুইজন চিকিৎসক বসেছেন। কিন্তু ইনডোরের চিকিৎসা সেবা ধরা-ছোঁয়ার বাইরে।
যেখানে প্রতিদিন শত শত চিকিৎসাপ্রার্থী রোগীর ভিড়ে মুখর থাকার কথা সেখানে শুনশান নিরবতা। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হলেও আজও অকেজো পড়ে আছে শেরপুরের ২৫০ শয্যার প্রায় ৩৯ কোটি টাকায় নির্মিত নতুন হাসপাতাল ভবনটি।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, মূলত জনবল ও সরঞ্জাম সংকটে হাসপাতালটি চালু করতে না পারলেও কোভিড-১৯ এর ওপর দোষ চাপাতে ব্যস্ত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এদিকে রোগীরা পুরাতন ভবনে বিছানা না পেয়ে বাধ্য হয়ে মাটিতে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা বলছেন, হাসপাতালটি উদ্বোধনের পর মাত্র কয়েক দিন আউটডোরে দুই-এক জন চিকিৎসক বসেছেন। তবে নতুন এই ভবনটিতে ইনডোরের চিকিৎসা দেয়া হয়নি কখনো।
শেরপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. মেরাজ উদ্দিন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পরও হাসপাতালটির কার্যক্রম শুরু হয়নি। আমরা জেনেছি, লোকবলের অভাবেই চালু হচ্ছে না এটি। শেরপুরবাসীর পক্ষ থেকে আমরা দ্রুতই হাসপাতালটি চালুর দাবি জানাচ্ছি।
জনবল ও সরঞ্জামাদি সংকটের মধ্যেই আগামী সেপ্টেম্বর মাসে হাসপাতালের নতুন ভবনটি চালু করার আশ্বাস দিয়েছেন শেরপুরের সিভিল সার্জন এ. কে. এ. আনোয়ারুর রউফ।
তিনি বলেন, পুরাতন ভবনটিতে সাধারণ চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে এবং নতুন ভবনে করোনা রোগীদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তবে সেপ্টেম্বরের শুরু থেকেই আমরা নতুন ভবনে নন-কোভিড রোগীদের চিকিৎসা দেয়া শুরু করব। তবে এখানে জনবল সংকট রয়েছে।