উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে যাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।
এটি আমাদের দলীয় সিদ্ধান্ত। তাই দলের এ সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে যারা নির্বাচনে অংশ নেবে, তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অতীতের মতোই ওই নেতাদের দল থেকে বহিষ্কার করা হবে।
সোমবার (০৪ মার্চ) দুপুরে বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় দুর্বৃত্তদের হাতে নিহত বিএনপি নেতা আব্দুল মতিনের পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানাতে গিয়ে এসব কথা বলেন রুহুল কবির রিজভী।
এর আগে উপজেলার বিশালপুর ইউনিয়নের মান্দাইল গ্রামে আব্দুল মতিনের বাড়িতে যান তিনি। সেই সঙ্গে শোকাহত পরিবারের সদস্যদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে সমবেদনা জানান এবং নিহতের স্ত্রী লাইলী বেগমের হাতে নগদ অর্থ তুলে দেন রিজভী।
এসময় উপস্থিত ছিলেন-বিএনপির কেন্দ্রীয় অর্থ বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি ও পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিম বাদশা, জেলা বিএনপির নেতা শহিদুর রহমান শহিদ, শেরপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম বাবলু, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম মিন্টু, বিশালপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আলী আহম্মেদ, স্থানীয় বিএনপি নেতা মোস্তাফিজুর রহমান, জহুরুল ইসলাম, আব্দুল মজিদসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী।
এছাড়া নিহত আব্দুল মতিনের ছেলে মিলন রহমান, মেয়ে মৌসুমী আক্তার, জামাই নাজিমুদ্দিন নাজু এসময় উপস্থিত ছিলেন।
পরে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে বিএনপি নেতা রুহুল কবির রেজভী নিহত আব্দুল মতিনের কবর জিয়ারত করেন।
গত ১৪ নভেম্বর শেরপুরে পুলিশ-আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে ত্রি-মুখী সংঘর্ষ হয়। পরদিন ১৫ নভেম্বর বিশালপুর ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য ও একই ইউনিয়নের মান্দাইল গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল মতিনসহ স্থানীয় উপজেলা বিএনপির ৬৭ জনের নামে বিস্ফোরণ ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে মামলা করা হয়।
এরপর থেকে গ্রেপ্তারের ভয়ে ধানক্ষেতসহ বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে থাকতেন আব্দুল মতিন। এর একপর্যায়ে ২২ নভেম্বর রাতে দুর্বৃত্তরা তাকে পিটিয়ে এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত করে ফেলে রেখে যান। পরদিন ২৩ নভেম্বর ভোরে বাড়ির পাশের ফসলের মাঠ থেকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান বিএনপি নেতা আব্দুল মতিন।