৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট সরকার পতনের পর শেরপুরের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি দপ্তর থেকে স্বৈরশাসকের সকল চিহ্ন মুছে ফেলা হয় । বিশেষ করে সরকারি অফিসের শেখ মুজিবের মুরাল, ভাস্কর্য, প্রতীকৃতি, ছবি, কর্নার ও লাইব্রেরী থেকে ফ্যাসিস্ট সরকারের সকল প্রকার বই পত্র অবসারণ করা হয়। কিন্তু শেরপুর জেলার শিক্ষা প্রকৌশলী দপ্তরের বঙ্গবন্ধু কর্নার থেকে কোন বইপত্র অপসারণ না করে বহাল তবিয়তে রেখে দিয়েছেন নির্বাহী প্রকৌশলী জয়িতা অধিকারী।
গত ৬ নভেম্বর শেরপুর জেলা বিএনপির আহবায়ক মোঃ হযরত আলী শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগের একটি কাজের বিষয়ে খোঁজ নিতে গেলে বিষয়টি তার নজরে আসে। এ সময় তিনি ওই কর্মকর্তার কাছে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের তিন মাস পরেও কেন এসব অপসারণ করা হয়নি ক্ষোভ প্রকাশ করে জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে সন্তোষজনক কোন জবাব দিতে পারেনি।
এরপর বিষয়টি স্থানীয় সাংবাদিকদের দৃষ্টিতে গোচোর হলে এ বিষয়ে শিক্ষা প্রকৌশলী জয়িতা অধিকারীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কর্নারের বইগুলো আমার নজরে আসেনি তাই অপসারণ করা হয়নি। তবে আমি এখন সব অপসারণ করবো।
উল্লেখ্য, এই শিক্ষা প্রকৌশলী শেরপুরে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভবন নির্মাণে পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের আওয়ামী ঠিকাদারদের সহায়তা করে যাচ্ছেন। সেই সাথে তার মনগড়া ভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভবন নির্মাণ নিয়েও নানা বিতর্কের সম্মুখীন হতে হয়। যে কারণে সম্প্রতি শেরপুর সরকারি মহিলা কলেজ এবং সরকারি ভিক্টোরিয়া একাডেমির একাডেমিক ভবন নির্মাণ নিয়ে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। পরবর্তীতে জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে ওইসব ঘটনার সমাধান করা হয়।