রীতিমতো ঘোষণা দিয়ে, নানান আয়োজন করে, দলবেঁধে ইউরোপের উদ্দেশ্যে যাত্রার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন তুরস্কে অবস্থানরত একদল শরর্ণার্থী। যাত্রার তারিখ সময় মতো জানানাে হবে বলে ঘোষণা তাদের।
যাত্রার জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে ইতিমধ্যে টেলিগ্রামে অ্যাকাউন্টে একটি বার্তা দিয়েছে দলটি। এই অ্যাকাউন্টটির অনুসারীর সংখ্যা ৭০ হাজার।
টেলিগ্রামে দেওয়া বার্তায় কাফেলার আয়োজকেরা এই পথ যারা পাড়ি দিতে ইচ্ছুক তাদেরকে কম্বল, তাঁবু, লাইফ জ্যাকেট, পানি, খাবার, এবং প্রাথমিক চিকিৎসার সরঞ্জমাদি সংগে আনার পরামশ দেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আয়োজকদের একজন বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেন, ”যাত্রার সময় হলে আমরা তা জানিয়ে দেবো।”
আর আয়োজকদের অনেকেই ইতিমধ্যে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে অবস্থান করছেন বলেও জানান তিনি।
আয়োজকরা জানান, কাফেলাটিকে নানা দলে বিভক্ত করা হবে। প্রতিটি দলে থাকবেন ৫০জন করে। আর তাদেরকে তত্ত্বাবধানের জন্য একজনকে দায়িত্ব দেওয়া হবে।
টেলিগ্রামে দেওয়া একটি পোস্টে চ্যানেলটির একজন অ্যাডমিনিস্ট্রেটর বলেন, ”আমরা দশ বছর ধরে তুরস্কে আছি। আমারা এখানে সুরক্ষিত আছি কিন্তু পশ্চিমা দেশগুলোকেও দায়িত্ব নিতে হবে।”
উল্লেখ্য, তুরস্কে বর্তমানে ৩৭ লাখ সিরীয়া শরণার্থী অবস্থান করছেন। তাদের অনেকেই সিরিয়া ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হবে এমন আতঙ্কে আছেন। আর তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এর্দোয়ান জানান, দশ লাখ সিরীয় শরণার্থীকে দেশে ফেরত পাঠানোর পরিকল্পনা করছে তার সরকার।