ads
শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫, ০৯:৫৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম
প্রেস ক্লাবের সামনে আন্দোলনকারীদের ওপর জলকামান-সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ সার্বভৌমত্ব রক্ষায় নবীন কর্মকর্তাদের প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের স্বৈরাচারের দোসর আরও ৩৯ আমলার দ্রুত অপসারণ দাবি জুলাই ঐক্যের ধর্ষণের পর গর্ভপাত: সালিশে ব্যর্থ, মামলাও নেয়নি পুলিশ হামলা ঠেকাতে ইসরায়েলের ব্যয় দিনে ২০০ মিলিয়ন ডলার ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরায়েলের হামলা বিপজ্জনক নজির: জাতিসংঘে চীনা দূত বেদখল খাসজমি উদ্ধারে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ ভূমি উপদেষ্টার বান্দরবানের লামায় সেনাবাহিনীর অভিযান, ৯ সন্ত্রাসী আটক দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে ট্রেনে কাটা পড়ে নারীর মৃত্যু শ্রীবরদীতে মাছের ঘেরে ২ শিশুর মরদেহ, দুর্ঘটনা নাকি হত্যাকাণ্ড!

এবার পেটে গজ রেখেই সেলাই, বের করা হলো ৩৬ দিন পর

রিপোর্টারের নাম
  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ১ জুন, ২০২২
  • ৭০ বার পঠিত

বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সিজারিয়ান অপারেশনকালে রোগীর পেটে গজ রেখে সেলাই করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ৩৬ দিন পেটে গজ বহনের পর একই হাসপাতালে অপারেশনের মাধ্যমে সেটি বের করা হয়। এ ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

ভুক্তভোগীর নাম শারমিন আক্তার। তিনি ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার বাসিন্দা জিয়াউল হাসানের স্ত্রী। তাদের দুই মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। বর্তমানে হাসপাতালের কেবিনে চিকিৎসাধীন আছেন তিনি।

শারমিনের অভিযোগ, ‘সিজারিয়ান অপারেশনের পর থেকে কোনোভাবেই পেটের ব্যথা কমছিল না। চিকিৎসকদের বারবার জানালেও তাদের এক কথা, ঠিক হয়ে যাবে। বাসায় যাওয়ার পর ব্যথা আরও তীব্র হয়। এ জন্য বিভিন্ন চিকিৎসকের কাছে গেলেও নিস্তার মেলেনি। আবারও শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হই। সেখানে ধরা পড়ে আমার পেটে গজ। আর সেই গজ পচে পুঁজ হয়ে তা বের হচ্ছিল। প্রায় চার ঘণ্টা অপারেশন করে গজ বের করা হয়। যা চিকিৎসকদের কাছে রয়েছে।’

শারমিনের বাবা আব্দুর রব সিকদার জানান, গত ১৬ এপ্রিল হাসপাতালে সিজারিয়ানের মাধ্যমে কন্যা সন্তানের জন্ম দেয় সে। অস্ত্রোপচারের পর থেকে পেটে ব্যথা অনুভব করে। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরার কিছু দিন পর শুরু হয় প্রচণ্ড ব্যথা। সম্প্রতি পেট ফুটো হয়ে বের হয় পুঁজ। এরপর আবারও ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর দেখা যায় শারমিনের পেটে গজ রয়েছে।

২২ মে পুনরায় অস্ত্রোপচার করে তা বের করেন হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের প্রধান ডা. নাজিমুল হক। তবে অভিযুক্ত চিকিৎসকের পরিচয় জানাতে পারেননি শারমিনের পরিবারের কেউ।

এ ধরনের সমস্যায় যাতে আর কোনও রোগীকে পড়তে না হয় এ জন্য অভিযুক্ত চিকিৎসককে শনাক্ত করে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রয়োগের দাবি জানিয়েছেন ‍আব্দুর রব। একই দাবি জানিয়েছে ভুক্তভোগী রোগীর এসএসসি পরীক্ষার্থী বড় মেয়েও।

হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচএম সাইফুল ইসলাম জানান, ঘটনা তদন্তে সার্জারি বিভাগের প্রধান ডা. নাজিমুল হককে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে গাইনি বিভাগের প্রধান ডা. খুরশীদ জাহান ও হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মনিরুজ্জামান শাহীনকে সদস্য করা হয়েছে।

কমিটিকে আগামী তিন দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।

সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর
ইঞ্জিনিয়ার মোঃ ওয়ালি উল্লাহ
নির্বাহী সম্পাদক
নিউজ রুম :০২-৯০৩১৬৯৮
মোবাইল: 01727535354, 01758-353660
ই-মেইল: editor@sristybarta.com
© Copyright 2023 - SristyBarta.com
Develop By : BDiTZone.com
themesba-lates1749691102