কক্সবাজারে কথিত বন্দুকযুদ্ধে মিজানুর রহমান নিহতের ঘটনাকে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড দাবি করে টেকনাফের বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে কক্সবাজার আদালতে আরও একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে।
রবিবার দুপুরে নিহত মিজানুর রহমানের বোন টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের বাসিন্দা নুর নাহার বাদী হয়ে কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম (টেকনাফ-৩) হেলাল উদ্দিনের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় অভিযুক্তদের মধ্যে ১২ জন পুলিশ সদস্য ও ইউনিয়ন পরিষদের একজন দফাদার রয়েছেন।
মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী জুলকারনাইন জিল্লু জানান, ভিকটিম মিজানুর রহমান মোবাইল ব্যাংকিং পরিচালনা করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। গত ৫ এপ্রিল সকালে টেকনাফ উপজেলা পরিষদ মসজিদ মার্কেটের দোকান থেকে তাকে ধরে নিয়ে যায় পুলিশ।
পরে একদল পুলিশ গিয়ে তার বাড়িঘরে ভাঙচুর ও লুটপাট চালায় এবং মিজানের পরিবার থেকে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়।
এর প্রেক্ষিতে মিজানের পরিবার ধারকর্জ করে দুই লাখ টাকা দেয়। বাকি টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় রাত পৌনে বারোটার দিকে বন্দুকযুদ্ধের নাটক সাজিয়ে মিজানুরকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনায় বিচার দাবি করেছেন নিহত মিজানুর রহমানের বোন নুরনাহার। তিনি দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
উল্লেখ্য, গত ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। ওই ঘটনায় গত ৫ আগস্ট সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস কক্সবাজারের একটি আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক লিয়াকতসহ নয়জনকে আসামি করা হয়। র্যাব মামলাটি তদন্ত করছে। ওই মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করার পর প্রদীপকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। বর্তমানে মামলাটি চলমান রয়েছে।