সম্প্রতি স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের আলোচনাসভায় আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, ‘চিরকাল কেউ ক্ষমতায় থাকে না এবং বাংলাদেশে কখন কী ঘটে, তা বলা যায় না।’ তার এই বক্তব্য নিয়ে নানা আলোচনার মধ্যে তিনি বললেন, ‘আমি কোনো রকম চিন্তা থেকে এ কথা বলিনি।’
হঠাৎ করে কেন আপনি এ ধরনের মন্তব্য করলেন? একটি সংবাদমাধ্যমের এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের জানান, তার মনে হচ্ছে না তিনি সেদিন নতুন কিছু বলেছেন।
তিনি বলেন, হঠাৎ তো নয়, আমার নেত্রী (আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা) প্রায়ই এই বক্তব্য দিয়ে থাকেন। আমি তার কথাই বলেছি।
তিনি আরো বলেন, আমি কোনো রকম চিন্তা থেকে এ কথা বলিনি। তা ছাড়া ওই দিনের বক্তব্যে আমি বিষয়টি পরিষ্কার করেছি।
গত ২৭ আগস্ট স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের ওই আলোচনাসভায় জাতীয় সংসদ ভবন এলাকার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। দলের নেতাকর্মীদের সতর্ক করে দেওয়া সেই বক্তব্যে তিনি আরো বলেছিলেন, যারা দল করেন তারা মনে রাখবেন দলে যদি ঐক্যকে গুরুত্ব না দেন, নিজেদের মধ্যে কলহ-কন্দোল থাকে তাহলে দুঃসময়ে প্রতিপক্ষ কোন্দলের ওপর আঘাত হানবে। এ দেশে কখন কী ঘটে বলা যায় না। চিরজীবন আমরা ক্ষমতায় থাকবো এটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভাবেন না, আমরাও ভাবি না। চিরকাল কেউ ক্ষমতায় থাকে না। চোখের পলকে বাংলাদেশে ১৫ আগস্ট ঘটে গেছে। হঠাৎ করে ২১ আগস্ট। ক্ষমতায় থেকে যে যেখানে আছেন ক্ষমতার দাপট দেখাবেন না। যখন ক্ষমতায় থাকবেন না প্রতিপক্ষ প্রতিশোধ নেবে।
তিনি আরো বলেছিলেন, হত্যা হত্যাকে ডেকে আনে। জিয়াউর রহমান যদি বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত না থাকতেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করতেন তাহলে আরেকটি খুনি চক্র জিয়াউর রহমানকে হত্যা করতে পারত না বলে আমার বিশ্বাস। যে বুলেট শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাকে এতিম করেছে সেই বুলেট খালেদা জিয়াকে বিধবা করেছে। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের যে পুরস্কৃত করেন, হত্যার বিচার হবে না-এই ইডেমনিটি সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীতে অন্তর্ভুক্ত করেন তাকে বলে বহু দলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা। তারপর আবার ২১ আগস্ট শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা।