চাঁদপুরে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কমছে। গত কয়েক দিন ধরেই আক্রান্তের চেয়ে সুস্থতার হার বেড়েছে। কমেছে মৃত্যুর সংখ্যাও। গত এক সপ্তাহে চাঁদপুরের ভাষাবীর এমএ ওয়াদুদ পিসিআর ল্যাবে ৪৯০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৮৯ জনের করোনা পজিটিভ আসে। এক সপ্তাহে মারা গেছেন একজন। একই সঙ্গে গত সাত দিনে করোনামুক্ত হয়েছেন ১২৮ জন।
সিভিল সার্জন ডা. মো. সাখাওয়াত উল্লাহ বলেন, ‘নমুনা পরীক্ষার তুলনায় এখানে আক্রান্তের হার প্রায় ১৩ শতাংশ। এছাড়া মৃত্যুর হারও অনেক কমেছে। করোনাভাইরাস কয়েক রকমের আছে। কিছু খুব খারাপ। আবার কিছু অত খারাপ না। এ কারণে হয়তো আক্রান্ত এবং মৃত্যুর হার কমছে।’
চাঁদপুর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সাজেদা পলিন বলেন, ‘আগে দ্বিতীয় নমুনা পরীক্ষা করা হতো। এখন পজিটিভ রিপোর্ট আসার ১৪ দিন পরও রোগী ভালো থাকলে তাকে সুস্থ ঘোষণা করা হচ্ছে। এছাড়া করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে কিনা তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তবে র্যাপিড টেস্ট শুরু হলে আরও ভালোভাবে বলা যাবে। এছাড়া এখন মানুষও নমুনা কিছুটা কম পরীক্ষা করাচ্ছে।’
উল্লেখ্য, এ পর্যন্ত জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৮৬ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৬২৮ জন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৩৭৮ জন। এর মধ্যে হাসপাতালে ১২ জন আর হোম আইসোলেশনে ৩৬৬ জন চিকিৎসাধীন।
স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, জেলায় এ পর্যন্ত আক্রান্তদের মধ্যে চাঁদপুর সদরে ৮৩১, হাইমচরে ১৩৫, মতলব উত্তরে ১৮০, মতলব দক্ষিণে ২২৪, ফরিদগঞ্জে ২৪২, হাজীগঞ্জে ১৯২, কচুয়ায় ৮০ ও শাহরাস্তি ২০৩ জন রয়েছেন। এর মধ্যে মারা গেছেন ৭৬ জন। মৃতদের মধ্যে চাঁদপুর সদরে ২১, ফরিদগঞ্জে ১১, হাজীগঞ্জে ১৭, শাহরাস্তিতে ৭, কচুয়ায় ৬, মতলব উত্তরে ১০, মতলব দক্ষিণে ৩ ও হাইমচরের একজন রয়েছেন।
স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, এ পর্যন্ত জেলা থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৮ হাজার ৩০৫ জনের। এর মধ্যে রিপোর্ট এসেছে ৮ হাজার ২২০ জনের।
সিভিল সার্জন জানান, এ পর্যন্ত আইসোলেশনে ভর্তি হয়েছেন ৭৯৩ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৭৭১ জন। বর্তমানে করোনা আক্রান্ত ১২ জনসহ আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২২ জন। এ পর্যন্ত হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা ব্যক্তির সংখ্যা ১১ হাজার ৫৮৯ জন। হোম কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৯ হাজার ৭৮৭ জন। বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন এক হাজার ৮০২ জন।