কামরাঙ্গা একটি চিরসবুজ ছোট মাঝারি আকৃতির গাছের টকমিষ্টি ফল। ফল কাঁচা অবস্থায় সবুজ এবং পাকলে হলুদ। কামরাঙ্গা টক স্বাদযুক্ত বা টকমিষ্টি হতে পারে। কোন কোন গাছে একাধিকবার বা সারাবছরই ফল পাওয়া যায়। এটি ভিটামিন এ ও সি এর ভাল উৎস। সেপ্টেম্বর থেকে জানুয়ারিতে ফল পাওয়া যায়। মৌসুমী ফল কামরাঙ্গার রয়েছে দারুন পুষ্টিগুণ। পুষ্টি চাহিদা মেটাতে কামরাঙ্গা একটি আদর্শ ফল।
দেশি ফলগুলোর মধ্যে কামরাঙা অন্যতম। অন্যান্য ফলের তুলনায় এর দামও অনেকটা কম। পুষ্টি জোগায়, নানা রোগ প্রতিরোধে কাজ করে। তাই এই সাধারণ একটি ফলেই হতে পারে রোগমুক্তির সমাধান। ভেজাল, দূষণ, অনিয়ন্ত্রিত জীবন যাপনের কারণে আমাদের শরীরের অবস্থা অনেকটাই খারাপ এর দিকে। ঠিক এই পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে পারে একটি ফল।
চিকিৎসকরা বলছেন, ভিটামিন বি নাইন ফলিক অ্যাসিডে ভরপুর কামরাঙা। যা হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়। ভিটামিন সি-এর পরিমাণ আম, আঙুর, আনারসের চেয়ে বেশি। কামরাঙায় আয়রনের পরিমাণ পাকা কাঁঠাল, কমলালেবু, পাকা পেঁপে, লিচু, ডাবের পানির চেয়েও বেশি।
ভিটামিন বি ফাইভ ও ভিটামিন বি সিক্স প্রচুর পরিমাণে রয়েছে কামরাঙায়। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ, কোলেস্টেরল কম করা এবং হাইপারটেনশন দূর করতে কামরাঙার জুড়ি মেলা ভার। শুধু কামরাঙা ফলই নয়, কামরাঙা গাছের পাতাও খুবই উপকারি।
এতে রয়েছে এলাজিক অ্যাসিড, যা খাদ্যনালির ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। এর পাতা ও কচি ফলের রসে রয়েছে ট্যানিন, যা রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে। সর্দিকাশিতে দারুণ উপকারি। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। কামরাঙা চুল, ত্বক, নখ ও দাঁত উজ্জ্বল করে। মুখে ব্রন হওয়া ঠেকায়।
তবে কিডনি রোগীদের জন্য কামরাঙা খুবই ক্ষতিকর। কামরাঙায় তাদের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। তাই এই ফলটি সবসময় অল্প করে খাওয়া উচিৎ।