ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার নিমসার বাজারে সরকারি জমি দখল করে গড়ে তোলা দুই শতাধিক স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।
শুক্রবার (৮ নভেম্বর) সকাল ১০টায় কুমিল্লা জেলা প্রশাসন এবং সড়ক ও জনপদের যৌথ উদ্যােগে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এর আগে অবৈধ দোকানপাট সরিয়ে নিতে বলা হয়।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার মো. মঈন উদ্দিন ও সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর কুমিল্লার উপবিভাগীয় প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম। অভিযানে কুমিল্লা জেলা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা সহযোগিতা করেন।
অভিযোগ রয়েছে, মহাসড়কের জায়গা দখল করে অবৈধভাবে ভাড়া আদায় করছিলেন একটি অসাধু চক্র। প্রতিবার দখলদার উচ্ছেদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ওই চক্রটি আবারও সরকারি জায়গা দখল করে। আবারও স্থাপনা তৈরি করে মহাসড়কে যান চলাচলে বাধার সৃষ্টি করে।
মহাসড়কের পাশে সার্ভিস লেনের জায়গা দখল করে রাজনৈতিক প্রভাবে ভাড়া দেওয়া হয়েছিল বেশ কয়েকটি দোকান। সেসব দোকান থেকে অবৈধভাবে টাকা উত্তোলন নিয়েও বিভিন্ন সময়ে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। নানান অনিয়ম ও বিশৃঙ্খলা তৈরি হয় সম্প্রতি হাইকোর্টের নির্দেশনা ও প্রশাসনের সিদ্ধান্তে দেশের এই বৃহত্তম কাঁচাবাজার থেকে খাজনা আদায়ও বন্ধ করে দেওয়া হয়। যার প্রভাবে খুচরা বাজারে সবজির দাম কমে যায়।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দুই পাশে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম কাঁচা সবজির বাজার নিমসার বাজার। এখানে অবৈধভাবে দোকানপাট নির্মাণ করে মহাসড়কের জায়গা দখল করা হয়েছিল। এছাড়া অস্থায়ীভাবে দোকানপাট নির্মাণ করে মহাসড়কের বিভাজক ব্যবহার করা হচ্ছিল। যে কারণে প্রতিনিয়ত এই এলাকায় যানজটের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। তাই সড়ক ও জনপদ বিভাগ এবং জেলা প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
সিনিয়র সহকারী কমিশনার মো. মঈন উদ্দিন জানান, সাধারণ মানুষের ভোগান্তি রোধেই এই দখলদার উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। একদিনে সম্ভব না হলে আমরা আবারও এখানে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করব। কেউ অবৈধভাবে দোকানপাট তৈরি করে যানজট কিংবা ভোগান্তি তৈরি করতে পারবে না।
সড়ক ও জনপথের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম জানান, আমরা বিভিন্ন সময় দেখেছি ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের দুই পাশে নিমসার বাজারকে কেন্দ্র করে অবৈধভাবে দোকানপাট তৈরি করে ভাড়া দেওয়া হয়েছে। এসব বিষয়ে সড়ক বিভাগ কিংবা প্রশাসন কারও কোনো অনুমতি নেই। এছাড়া সড়ক বিভাজক ব্যবহার করেও ব্যবসা করছে অনেকে। যে কারণে রাতে ও ভোরে মহাসড়কে যানজট তৈরি হয়। আমরা মহাসড়কে যান চলাচল নিরবচ্ছিন্ন রাখতে অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ করার জন্য এই অভিযান পরিচালনা করছি।