কুষ্টিয়া পৌরসভা প্রাঙ্গণে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের ওপর ছাত্রলীগ অস্ত্র নিয়ে হামলা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) রাত ৮টার সময় কুষ্টিয়া পৌরসভা প্রাঙ্গণে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, শহরের কুষ্টিয়া পৌরসভা চত্বরে পিঠা উৎসবে যান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুষ্টিয়া জেলা শাখার সদস্যসচিব মোস্তাফিজুর রহমান, যুগ্ম আহ্বায়ক সায়াদ ইসলাম শ্রেষ্ঠ, হুমাইরা কবির সাদিয়া, মুখ্য সংগঠক এম ডি বেলাল হোসেন বাঁধনসহ কয়েকজন। এসময় প্রায় ৩০ থেকে ৪০ জন ছাত্রলীগ কর্মীরা অতর্কিত হামলা চালায়। এতে কয়েকজন আহত হয়েছেন। এ সময় হামলাকারীদের হাতে অস্ত্র ছিল। হামলা করে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। হামলাকারীদের মধ্যে আমির হামজা, স্যামসাদী, প্রেমসহ অন্যান্য ছাত্রলীগের কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা বলেন, আমরা কুষ্টিয়া পৌরসভায় গিয়েছিলাম। সেখান আমাদের হত্যার উদ্দেশ্যে পূর্বপরিকল্পিতভাবে হামলা চালায় ছাত্রলীগের কর্মীরা। আমরা পুলিশকে অভিযোগ জানিয়েছি।
কুষ্টিয়া জেলা শাখার আহ্বায়ক হাসিবুর রহমান বলেন, ছাত্রলীগের কর্মীরা ও কিশোর গ্যাং বাহিনীর সদস্যরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হামলা করে। এতে কয়েকজন আহত হয়েছেন। থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। হামলাকারীদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিহাবুর রহমান শিহাব জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র নেতাদের ওপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে কাউকে আটক করা যায়নি।
এ ঘটনার পরে রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুষ্টিয়া জেলা শাখার মুখপাত্র পারভেজ মোশারফ এক লিখিত বিবৃতিতে নিন্দা ও দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবী জানান।