ঢাকাই সিনেমার পরিচিত চিত্রনায়ক জায়েদ খান। ২০০৮ সালে বড়পর্দায় অভিষেক হয় তার। তারপর অভিনয় করেছেন মাত্র ১৭টি সিনেমায়। অভিনেতার তিনি একজন প্রযোজকও। পাশাপাশি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
গত বছর শেষের দিকে ফিল্মপাড়ায় বেশ আলোচনায় ছিলেন জায়েদ খান। মূলত প্রযোজক সমিতির সঙ্গে দ্বন্দ্ব, অভ্যন্তরীণ কোন্দল আর বির্তকের কারণে তাকে নিয়ে বেশ আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে। দেশীয় এক গণমাধ্যমে বিভিন্ন বিষয়ে দীর্ঘ সাক্ষাৎকার দিয়েছেন জায়েদ খান।
আলোচিত জায়েদ খান কি ইন্ডাস্ট্রি থেকে বিচ্ছিন্ন? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমি বিচ্ছিন্ন না। নিয়মিতই এফডিসিতে যাচ্ছি। এখন একটু কম যাচ্ছি, কয়েক দিন আগে বাবা মারা গেলেন। তাই মনটাও খুব ভালো নেই। আর বয়কট শব্দটি কোথায় থেকে আসে। কেউ কাউকে বয়কট করতে পারে না। তা ছাড়া আমি তো ১৮ সংগঠন দেখতেই পাই না। কিছু আছে আমার সহযোগী সংগঠন। আর মূল যে প্রযোজক সমিতি, সেটা কী আদৌ আছে!
বিভিন্ন সংগঠনের একাধিক নেতার সঙ্গে বিবাদে জড়িয়েছেন জায়েদ খান। এর কারণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যারা চলচ্চিত্রের বিরুদ্ধে কাজ করবে তাদের সঙ্গে তো মতবিরোধ থাকবেই। এটা ব্যক্তি জায়েদ খানের দ্বন্দ্ব না, শিল্পীদের প্রতিনিধির দ্বন্দ্ব। আমি যখনই শিল্পীদের স্বার্থ রক্ষা করতে গেছি তখনই এই দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে।
জায়েদ খান অভিনীত প্রথম সিনেমা ‘ভালোবাসা ভালোবাসা’। ২০০৮ সালে মুক্তি পেয়েছিল এটি। সর্বশেষ ২০১৯ সালে ‘প্রতিশোধের আগুন’ সিনেমায় দেখা গিয়েছিল এ অভিনেতাকে। গত বছর একটি সিনেমায় অভিনয়ের ঘোষণা দিয়েছিলেন জায়েদ খান। এফডিসিতে মহরতও করেছিলেন তিনি।