সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের সাদাপাথর পর্যটন এলাকা পরিদর্শন করেছে পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক নাগরিক সংগঠন ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা)’র নেতৃবৃন্দ।
ধরার কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিব শরীফ জামিলের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল আজ ২ নভেম্বর (শনিবার) দুপুরে পর্যটন এলাকাটি পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শন দলে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিলেট মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক, পরিবেশ ও ঐতিহ্য সংরক্ষণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি ডাঃ শাহজামান চৌধুরী বাহার, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এডভোকেট গোলাম সোবহান চৌধুরী, ধরা কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য আব্দুল করিম কিম, হাওর রক্ষায় আমরা এর সমন্বয়ক তোফাজ্জল সোহেল, ধরা নিউইয়র্কের সংগঠক শাহান মজুমদার ও সমাজকর্মী রুহুল কুদ্দুস।
প্রতিনিধি দল সেখানে বোমা মেশিন এর মাধ্যমে পাথর উত্তোলন বন্ধ থাকায় সন্তোষ প্রকাশ করেন। তবে প্রতিনিধি দল স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে সাম্প্রতিক সময়ে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনকালে সাদা পাথর এলাকায় জমে থাকা পাথর লুটপাটের অভিযোগের সত্যতা পান। প্রতিনিধি দল, পর্যটন কেন্দ্রটিতে পর্যটন কর্তৃপক্ষ কিংবা টুরিস্ট পুলিশের কোন প্রকার তৎপরতা দেখতে পাননি। পর্যটকদের নানাবিধ চাহিদার যোগান দিতে তৎপর স্থানীয়দের অব্যবস্থাপনা লক্ষ্য করেছেন।
বিভিন্ন হোটেল রেস্তোরায উন্মুক্ত ও অস্বাস্থ্যকর খাদ্য সামগ্রী বিক্রি করতে দেখা যায়। পর্যটকদের সাথে আলাপ কালে জানা যায়, ইঞ্জিন নৌকা পরিবহনে যাওয়া আসার ভাড়া অগ্রীম গ্রহণের কারণে পর্যটকদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। প্রতিনিধি দল মনে করেন, যাওয়া আসার ভাড়া পৃথকভাবে গ্রহণ করলে এই সমস্যা লাঘব হবে।
পাথর উত্তোলনের বিষয়ে প্রতিনিধি দল মনে করেন, যান্ত্রিকভাবে পাথর উত্তোলন বন্ধ রেখেই সনাতন পদ্ধতিতে নিয়ন্ত্রিত এবং বিজ্ঞানভিত্তিক পাথর আহরণের মধ্য দিয়ে ধলাই নদীর চিরায়ত বৈশিষ্ট্য ও প্রবাহ অব্যাহত রাখা বাঞ্ছনীয়।
প্রতিনিধিদল লক্ষ্য করেন, সীমান্তের ওপারে অনিয়ন্ত্রিত বৃহৎ প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন থাকায় উজান থেকে নেমে আসা নির্মাণ বর্জ্যে সাদা পাথর সংশ্লিষ্ট এলাকার প্রাকৃতিক পরিবেশে বিরূপ প্রভাব ফেলছে।