ময়মনসিংহ নগরের পুরোহিত পাড়ায় ২০১৮ সালের ২৪ মে ক্রসফায়ারে রাজন নামে এক যুবক হত্যার ঘটনায় সাবেক ওসিসহ ১৭ পুলিশ সদস্যের নামে মামলা হয়েছে।
ঘটনার ছয় বছর পর রোববার (২০ অক্টোবর) রাজনের বাবা হারুন অর রশিদ বাদী হয়ে ময়মনসিংহের ১ নম্বর আমলি আদালতে এ মামলা করেন।
এসময় বাদীর অভিযোগ আমলে নিয়ে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রওশন জামিল ঘটনা তদন্ত করে কোতোয়ালি মডেল থানার ওসিকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
মামলার আসামিরা হলেন- জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশিকুর রহমান, পুলিশ পরিদর্শক মোখলেছুর রহমান, কনস্টেবল কাউসার হাবিব, কনস্টেবল গোলজার, কনস্টেবল ছোহরাব আলী, উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফারুক আহমেদ, এসআই পরিমল চন্দ্র দাস, এসআই আক্রাম হোসেন, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আব্দুল মজিদ, এএসআই জিন্নাত হাসান মানিক, এএসআই জাকির হোসেন, এএসআই জিল্লুর রহমান, কনস্টেবল সাইফুল, কনস্টেবল সেলিম, কনস্টেবল রাশেদুল, কনস্টেবল সানোয়ার এবং কনস্টেবল জহিরুল ইসলাম।
ময়মনসিংহ আদালতের পুলিশ পরিদর্শক মোস্তাছিনুর রহমান খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
মামলার অভিযোগে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২২ মে মঙ্গলবার রাত ১টার সময় ডিবির সাবেক ওসি আশিকুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল পুরোহিত পাড়ায় অভিযান চালিয়ে রাজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জেলা ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যায়। পরে ছেলেকে দেখার জন্য ডিবি কার্যালয়ে যান রাজনের বাবা। কিন্তু দুদিনেও তাকে ছাড়া হয়নি। এরপর ২৪ মে সকালে বাদী আবার ছেলেকে ছাড়াতে ডিবি কার্যালয়ে গেলে ওসি আশিকুর রহমান ১০ লাখ টাকা রাতের মধ্যে দিতে হবে বলে জানান। বাদী টাকা সংগ্রহ করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। পরে রাত পৌনে ২টার দিকে পুরোহিত পাড়া রেলওয়ে ভাঙ্গা ওয়াল সংলগ্ন পুকুরপাড়ের দক্ষিণ পশ্চিম কোণায় রেনু বেগমের বাড়ির পাশে রাজনকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে সেই সময়ের ওসি আশিকুর রহমানের নির্দেশে পুলিশ সদস্যরা রাজনকে গুলি করে হত্যা করেন। পরে মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
মামলার বাদী হারুন অর রশিদ আরও জানান, ১০ লাখ টাকা না দেওয়ায় ওসি আশিকুর রহমানসহ অন্যরা রাজনকে ক্রসফায়ারে হত্যা করেছেন।