বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা গণ-আন্দোলনের চাপে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশত্যাগ করেছেন। এ খবরে বিজয় উল্লাসে মেতেছেন চাঁদপুরের জেলা শহর ও উপজেলার শহর গ্রামের সাধারণ মানুষ।
এরই মধ্যে চাঁদপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়ন পরিষদের আলোচিত ‘বালুখেকো’ খ্যাত চেয়ারম্যান সেলিম খান ও তার ছেলে নায়ক শান্ত খান গনপিটুনিতে নিহত হয়েছেন।
সোমবার (৫ আগস্ট) শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার পর নিজ এলাকা থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় বালিয়া ইউনিয়নের ফরক্কাবাদ বাজারে এসে জনগণের তোপের মুখে পড়েন তারা। এরপর সেখানে নিজের পিস্তল থেকে গুলি করে উদ্ধার হয়ে আসতে পারলেও পার্শ্ববর্তী বাগাড়া বাজারে এসে জনতার মুখোমুখি হয়। তারপর সেখানে জনগণের পিটুনিতে নিহত হোন সেলিম খান ও তার ছেলে শান্ত খান।
চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শেখ মুহসীন আলম বলেন, তাদের মৃত্যুর বিষয় আমরা জেনেছি। তবে আমাদেরকে কেউ খবর দেয়নি। আর আমাদের জানমালের নিরাপত্তার কারণে সেখানে কাউকে পাঠানো হয়নি।
এর আগে ছাত্র জনতা বিকেল থেকে জেলা শহর ও উপজেলার শহর গ্রামের সবগুলো এলাকার কয়েক লাখ মানুষ রাস্তায় নেমে এসে আনন্দ করছে। ‘পলাইছেরে পলাইছে, শেখ হাসিনা পলাইছে’ স্লোগানসহ নানা ভাষায় উল্লাস করেছেন।
রাস্তায় নেমে আসা মানুষ বলছেন, ‘স্বৈরাচারের পতন করে দেশটাকে আরেকবার স্বাধীন করা হলো। এই গণঅভ্যুত্থান জনগণের। জনগণকে শেখ হাসিনা দাস মনে করতো। মানুষ কথা বলতে পারতো না। সে দেশের প্রধানমন্ত্রী ছিল, জনগণকে হত্যার লাইসেন্স কে দিল?’
এদিকে শেখ হাসিনার দেশ ত্যাগের খবর আসার পরপরই বিভিন্ন স্থানে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর চালায় বিক্ষুব্ধরা। চাঁদপুর আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়,জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের বাসভাবন, চাঁদপুর পৌরসভা, জেলা পরিষদ, উপজেলা, শহরের আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের বিভিন্ন নেতার বাড়িতে হামলা করেছে।
অন্যদিকে বিকেল ৪টায় বিক্ষুব্ধরা কুচয়া থানা ঘেরাও করে। এসময় এসআই মামুনুর রশিদ সরকার থানার পেছনের দরজা দিয়ে বের হয়ে বন্ধবন্ধু ডিগ্রী কলেজ মাঠে চলে যান। সেখানে বিক্ষুব্ধরা তাকে পিটিয়ে হত্যা করেন।