লক্ষ্মীপুরে বসতঘরে সিঁধ কেটে পরিবারের সদস্যদের হাত-পা ও মুখ বেঁধে এক গৃহবধূকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূকে রোববার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ সময় ওই গৃহবধূর স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুটে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তার পরিবার।
রোববার ভোররাতে সদর উপজেলার তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের চরমটুয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত পাঁচজনকে ধরতে পুলিশ মাঠে অভিযানে নেমেছে বলে জানান পুলিশ সুপার।
ভুক্তভোগীর স্বজন এবং পুলিশ গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, রোববার ভোররাতে স্থানীয় চরমটুয়া গ্রামে কৃষক আবদুর রহমানের ঘরে সিঁধ কেটে প্রবেশ করে সুমন, নাজিম, হোসেন, ইউছুফ ও হারুন নামের পাঁচ যুবক। এ সময় গৃহবধূ, তার শাশুড়ি, ননদ ও ছেলেসহ সবাইকে হাত-পা ও মুখ বেঁধে ফেলে তারা। এরপর ভিকটিম গৃহবধূকে চারজন মিলে পালাক্রমে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ করেন ওই গৃহবধূসহ স্বজনরা। পরে তারা ওই গৃহবধূর ব্যবহৃত স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুটে নেয় বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা। সকালে ভিকটিমকে হাসপাতালে ভর্তি করান স্বজনরা।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. আনোয়ার হোসেন জানান, নির্যাতনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে। তার ডাক্তারি পরীক্ষা ও চিকিৎসা চলছে।
এদিকে পুলিশ সুপার ড. এ এইচ এম কামরুজ্জামান জানান, গৃহবধূকে ধর্ষণের খবর পেয়ে পুলিশের একাধিক টিমকে ঘটনাস্থল এলাকা, হাসপাতালসহ মাঠে পাঠানো হয়েছে।