‘কসৌতি জিন্দেগি কে’খ্যাত ভারতীয় অভিনেতা সেজান খান। তার বিরুদ্ধে এক নারীর গুরুতর অভিযোগ। ওই নারীর দাবি, যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিন কার্ড পাওয়ার লোভে তাকে বিয়ে করেছিলেন সেজান। আর গ্রিন কার্ড পাওয়ার পরই নাকি সেজান তাকে ডিভোর্স দেন। তবে সেজান খান তার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন।
টাইমস অব ইন্ডিয়াকে উদ্ধৃত করে বলিউড বাবলের খবর, সেজান খানের বিরুদ্ধে ওই অভিযোগ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক নারী আয়শা পিরানি। তার দাবি, ২০১৫ সালে তাকে সেজান বিয়ে করেন। সেই বিয়ে টেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত।
সেজানের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ এনে টাইমস অব ইন্ডিয়াকে আয়শা বলেন, ‘এখন যদি সে ৫০টা বিয়েও করে, তাতেও আমি পরোয়া করি না। কিন্তু এর আগে যে সে বিয়ে করেছিল, সেটা কেন আমার কাছ থেকে লুকিয়েছিল? সে আমার সঙ্গে প্রতারণা করেছে, যুক্তরাষ্ট্রে গ্রিন কার্ড পাওয়ার জন্য আমাকে ব্যবহার করেছে এবং আমার অর্থের ওপর নির্ভরশীল ছিল। আর গ্রিন কার্ড পাওয়ার পরই বিচ্ছেদের জন্য আবেদন করে।’
আয়শা জানান, তার প্রথম স্বামীর সঙ্গে বেশ কিছু ইস্যুতে ঝামেলা চলছিল এবং সেজান সে সময় তার প্রতি অনুরক্ত ছিলেন। এ কারণেই প্রথম স্বামীকে ডিভোর্স দিয়েছিলেন তিনি। বিচ্ছেদের পর সেজান এগিয়ে যান এবং ২০১৫ সালে তাকে বিয়ে করেন। কিন্তু সেজান নাকি তাদের বিয়ের কথা আড়াল করেছিলেন।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, এ ব্যাপারে মার্কিন অভিবাসন বিভাগ ও মুম্বাই পুলিশকে লিখিত অভিযোগ করেছেন আয়শা। অভিযোগে বলা হয়েছে, সেজানের দুই পাসপোর্টে জন্মতারিখ আলাদা। প্রমাণ হিসেবে তিনি বিয়ের সনদ ও বেশ কিছু ছবি দিয়েছেন।
তবে আয়শার দাবি অস্বীকার করেছেন সেজান খান। টাইমস অব ইন্ডিয়াকে তিনি বলেছেন, ‘সে আমার কাজিনের স্ত্রীর বোন, বাস করে করাচিতে। সেভাবেই তাকে চিনি। বিয়ের সনদ সম্পর্কে আমার কোনো ধারণাই নেই।’
সেজান খানের দাবি, নিজের প্রচার পাওয়ার জন্য ওই পথ বেছে নিয়েছেন আয়শা এবং সাফ বলে দিয়েছেন, যদি কোনো সমস্যা থেকে থাকে, তো আদালতে যেতে পারেন আয়শা।
আয়শা পিরানির অভিযোগ গুরুতর আর সেজান খান সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। তাহলে কে সত্য বলছেন? আশা করা যায়, দ্রুতই তা বেরিয়ে আসবে।