চবি ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থী ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের দাবি জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্থা ও এনজিও সৃষ্টি হিউম্যান রাইটস সোসাইটি।
গতকাল সংস্থার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে যৌন হয়রানির ঘটনাগুলো উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে। এতে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন ব্যাহত এবং তাঁদের স্বাভাবিক চলাচলের নিরাপত্তা ঝুঁকির সম্মুখীন হতে যাচ্ছে।
সংস্থার অই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করে যৌন নিপীড়নের মতো অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় না এনে ছাত্রীদের চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। যা শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবনে ক্যাম্পাসে স্বাভাবিক চলাচলের নিরাপত্তা হীনতার প্রশ্ন তুলছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ধরনের প্রস্তাবে আমরা স্তম্ভিত। মানবাধিকার সংস্থা ও এনজিও সৃষ্টি হিউম্যান রাইটস সোসাইটি ক্যাম্পাসে ছাত্রীদের অবাধ ও স্বাধীন চলাচলের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে কার্যকর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানাচ্ছে। সেই সঙ্গে যৌন হয়রানির ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থী ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের দাবিও জানাচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত রবিবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের বোটানিক্যাল গার্ডেন এলাকায় পাঁচ তরুণের হাতে যৌন নিপীড়ন ও মারধরের শিকার হওয়ার অভিযোগ করেন এক ছাত্রী। এ সময় তাঁর সঙ্গে থাকা বন্ধু ও তাঁকে মারধর করে মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ ছিনতাই করা হয় বলে ওই ছাত্রী জানান।
মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন ওই ছাত্রী। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে। পরে গত বুধবার হাটহাজারী থানায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সহায়তায় অজ্ঞাতপরিচয় পাঁচজনকে আসামি করে একটি মামলাও করেন সেই ছাত্রী।