নির্বাচনের নতুন তারিখ ঘোষণার পর আবারো সরগরম চট্টগ্রামের সিটি করপোরেশন মেয়র প্রার্থীদের বাসা ও নির্বাচনী কার্যালয়। তবে করোনায় স্বাস্থবিধি মেনে নির্বাচনের কার্যক্রম পরিচালনা করার কথা বলছেন প্রার্থীরা।
চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচন-তফসিল ঘোষণা প্রচারণাও ছিল শেষ পর্যায়ে। করোনা মহামমারি শুরু পর স্থগিত করা হয় নির্বাচনটি। ফলে স্থবিরতা নেমে আসে মেয়র প্রার্থীদের বাসা ও নির্বাচনী অফিসগুলোতে। নতুন তারিখ ঘোষণা পর আবারো নেতা কর্মীদের ভিড় বাড়ছে মেয়র প্রার্থীদের বাসা ও নির্বাচনী অফিসগুলোতে।
বিএনপি’র নেতাকর্মীরা জানান, ‘জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সর্বশক্তি নিয়ে রাজপথে থাকবে এবং অধিকার আদায়ের জন্য শেষ পর্যন্ত।’
এদিকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বলেন,’শেখ হাসিনা ১০বছরে চট্টগ্রামের যে উন্নয়ণ করেছেন বিগত কোন সরকারই এ উন্নয়ণ করেনি। সে উন্নয়ণের ধারাবাহিকতা রাখতে হলে চট্টগ্রামের মেয়র বিজয়ের কোন বিকল্প নেই।’
সিটি নির্বাচন সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সেনা মোতায়নের দাবি বিএনপি প্রার্থীর। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের বিএনপি মেয়র প্রার্থী ডা. শাহদাত হোসেন বলেন,’ব্যালট ও প্যানেলকে অবশ্যই সুরক্ষা দিতে হবে। সুরক্ষা দিতে হলে উইথ আর্মস সেখানে সেনাবাহিনীকে থাকতে হবে। যাতে কোন বহিরাগত কোন ক্যাডার সেখানে ভোট দিতে না পারে।’
জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী জানান আওয়ামী লীগ প্রার্থী । চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচরে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন,’আওয়ামী লীগ ভালো কাজ করেছে এটা কোন দিন তাদের মুখে বলতে শুনিনি। এরা হচ্ছে নালিশী পার্টি এরা হচ্ছে সমালোচনার পার্টি। ভালো করলেও সমালোচনা করবে ওরা করতেই থাকবে।’
নির্বাচনে আওয়ামীলীগ ও বিএনপিসহ ছয়জন মেয়র পদে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। গেলো মার্চে স্থগিত হওয়া নির্বাচন হচ্ছে আগামি ২৭ জানুয়ারি।