নোয়াখালীর চাটখিলে চাকরি দেওয়ার নামে ডেকে এক নারীকে ধর্ষণের পর ভারতে পালানোর চেষ্টা চালিয়েছিল অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা ফুয়াদ আল মতিন (৩৮)। মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) নোয়াখালী কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সংস্থাটির কুমিল্লার পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান।
এ সময় পিবিআই নোয়াখালী কার্যালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে, সোমবার কুমিল্লার কান্দিরপাড় এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পিবিআই।
মিজানুর রহমান বলেন, ‘চাটখিল উপজেলার পাল্লা বাজারে এক সন্তানের জননী ধর্ষণের শিকার হওয়ার ঘটনাটি গণমাধ্যমে প্রচার হওয়ার পর ঊর্ধ্বতন পিবিআই কুমিল্লা ছাড়াও আশেপাশের ইউনিটগুলো তৎপর হয়। অনুসন্ধানের একপর্যায়ে প্রযুক্তি ব্যবহার করে এবং গোপন সংবাদে জানা যায়, অভিযুক্ত ফুয়াদ আল মতিন কুমিল্লা হয়ে ভারত পালিয়ে যাবে। ওই তথ্য পাওয়ার পর কুমিল্লার বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে খোঁজ নেওয়া শুরু হয়।’
তিনি বলেন, ‘একপর্যায়ে জানা গেছে, কুমিল্লা শহরের কান্দিরপাড় এলাকার আবাসিক হোটেল আল-রাফিতে নাম পাল্টে মাসুদ রানা উল্লেখ রবিবার সন্ধ্যায় একজন কক্ষ ভাড়া নেয়। পিবিআই কুমিল্লার একদল সদস্য হোটেল আল-রাফির পাশে থেকে সোমবার সকালে তাকে গ্রেফতার করে।’
পিবিআইয়ের এই কর্মকর্তা জানান, গ্রেফতার ফুয়াদ আল মতিন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণের কথা স্বীকার করেছে। তাকে আদালতে হাজির করা হবে। পিবিআইয়ের পরিদর্শক সিরাজুল মোস্তফা মামলাটি তদন্ত করছেন।
এর আগে, চাকরি দেওয়ার কথা বলে রবিবার সকাল ১০টায় ওই নারীকে পাল্লা বাজার কার্যালয়ে আসতে বলে ফুয়াদ। তার কথামতো সেখানে এলে কালক্ষেপণ করে। পরে নাশতার সঙ্গে নেশাদ্রব্য মিশিয়ে খাইয়ে ওই নারীকে ধর্ষণ করে এবং এর ভিডিও ধারণ করে। ফুয়াদ আল মতিন উপজেলার পাঁচগাঁও ইউনিয়ন যুবলীগের একাংশের সাধারণ সম্পাদক এবং একই ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের আবু তোরাব গ্রামের মতিন প্রফেসরের ছেলে।