ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নিশান মাহমুদ শামীম ও সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম জীবনকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। সংগঠনের নীতি আদর্শ ও শৃঙ্খলা পরিপন্থি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নিয়েছে সংগঠনটি।
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল-নাহিয়ান খান ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য্য স্বাক্ষরিত এক আদেশে এ কথা জানানো হয়।
গত ১৬ মে রাতে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহার বাড়িতে দুই দফা হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সুবল সাহা ফরিদপুর কোতয়ালি থানায় একটি মামলা করেন। পরে ৭ জুন ওই মামলার আসামি শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক (বহিষ্কৃত) সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তার ভাই ফরিদপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি (বহিষ্কৃত) ইমতিয়াজ হাসান রুবেলসহ নয়জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ওই মামলার আরেক আসামি জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম পলাতক রয়েছেন বলে জানা গেছে।
এদিকে গত ২৬ জুন সিআইডি ঢাকার কাফরুল থানায় শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বরকত ও তার ভাই রুবেলের বিরুদ্ধে দুই হাজার কোটি টাকার মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগে একটি মামলা করে। ওই মামলার আরেক আসামি হিসেবে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নিশান মাহমুদকে গ্রেফতার করা হয়।
এর আগে এই মামলায় রুবেল ও বরকতকে পাঁচদিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিআইডি। জিজ্ঞাসাবাদে ওই টাকা পাচারের সঙ্গে জড়িত অনেকের নাম প্রকাশ করেন আসামিরা।
সিআইডি জানায়, রুবেল-বরকতের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ছাত্রলীগের সভাপতি নিশান মাহমুদ শামীমকে গ্রেফতার করা হয়। এ ছাড়া নিশান মাহমুদের বিরুদ্ধে হামলা ও চাঁদাবাজির মামলা রয়েছে।