ads
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:১০ পূর্বাহ্ন

জামিন সংক্রান্ত হাইকোর্টের চার নির্দেশনা আপিল বিভাগে স্থগিত

রিপোর্টারের নাম
  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ৫ জানুয়ারি, ২০২১
  • ২০ বার পঠিত

জামিন সংক্রান্ত হাইকোর্টের দেয়া চার দফা নির্দেশনা সংক্রান্ত রায় স্থগিত করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। উচ্চ আদালতে জামিনপ্রাপ্ত হওয়ার পর তার অপব্যবহার না করলে অধস্তন আদালত সেই জামিন বাতিল করতে পারবেন না- উল্লেখ করে এসব নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল।

মঙ্গলবার হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন।

এর আগে, চট্টগ্রামের মো. ইব্রাহিম নামের এক ব্যক্তির জামিন বিষয়ে ২০১৯ সালের ২৩ অক্টোবর চার দফা নির্দেশনা দিয়ে রায় দেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের বিচারপতি মো. হাবিবুল গণি ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ তাদের রায়ে এ চার দফা নির্দেশনা দেন।

নির্দেশনাগুলো হচ্ছে-

১. হাইকোর্ট বিভাগ থেকে কোনো আসামি যদি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য জামিনে মুক্তি পান, তবে জামিনের অপব্যবহারের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া অধস্তন আদালত তার জামিন বাতিল করতে পারবেন না।

২. নির্দিষ্ট সময়ের জন্য জামিনে মুক্তি পাওয়া ব্যক্তির জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে হাইকোর্টের আদেশ দাখিল না করার কারণে অধস্তন আদালত তার জামিন বাতিল করে তাকে কারাগারে পাঠাতে পারবেন না।

৩. সংশ্লিষ্ট আসামি বা ব্যক্তির জামিন বাতিল করতে হলে হাইকোর্টের যে রুল বা আপিলে জামিন পেয়েছেন, সেই রুল বা আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

৪. হাইকোর্ট যে রুলে বা আপিলে জামিন দিয়েছেন, তা খারিজ না হওয়া পর্যন্ত অধস্তন আদালত তার জামিন বাতিল করতে পারবেন না। হাইকোর্টের দেয়া জামিনের শর্ত ভঙ্গ করলেই শুধু জামিন বাতিল করা যাবে।

রায়ে হাইকোর্ট বলেছেন, ইদানীং লক্ষ্য করা যাচ্ছে হাইকোর্ট থেকে জামিনের পর নিয়মিত সংশ্লিষ্ট আদালতে (অধস্তন আদালত) হাজিরা দিচ্ছেন, এমন আসামির জামিন বাতিল করে তাকে কারাগারে পাঠানো হচ্ছে। জামিনের অপব্যবহার না করলেও শুধু জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর হাইকোর্টের আদেশের কপি দাখিল না করার কারণে এই জামিন বাতিল করা হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন অধস্তন আদালত থেকে প্রায়ই এমনটি করা হচ্ছে। দিনের পর দিন এ প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

ফলে হাইকোর্ট ও বিচারপ্রার্থীরা আর্থিক এবং শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। উপরোক্ত নির্দেশনা প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করতে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রারকে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। পরে হাইকোর্টের নির্দেশনাগুলো স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা। সেটি শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগ তা স্থগিত করেন।

এর আগে মো. আবু বকর চৌধুরী নামের এক ব্যক্তি তার আট বছরের ছেলেকে বলাৎকারের অভিযোগে মো. ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে চট্টগ্রামের চান্দগাঁও থানায় ২০১৮ সালের ১৬ মে একটি মামলা করেন। এ মামলায় ওইদিনই পুলিশ ইব্রাহিমকে গ্রেফতার করে। ইব্রাহিম চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন বিশেষ ট্রাইব্যুনালে জামিনের আবেদন করেন। ওই আদালত তাকে জামিন না দিলে হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেন।

হাইকোর্ট একই বছরের ৭ সেপ্টেম্বর তাকে ছয় মাসের জামিন দেন এবং রুল জারি করেন। এরপর তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পান। এ অবস্থায় পুলিশ তদন্ত শেষে ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে। এরপর ইব্রাহিম ২০১৯ সালের ১৯ জুন চট্টগ্রামের ৫ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। কিন্তু ওই আদালত তার আবেদন খারিজ করে তাকে আবারো কারাগারে পাঠিয়ে দেন। এরপর তিনি হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেন। পরে ২০২০ সালের ২৬ জুন হাইকোর্ট তাকে তিন মাসের জামিন দেন।

সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর

Prayer Time Table

  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৫:১১
  • ১১:৫৯
  • ১৫:৪০
  • ১৭:১৯
  • ১৮:৩৮
  • ৬:৩৬
ইঞ্জিনিয়ার মোঃ ওয়ালি উল্লাহ
নির্বাহী সম্পাদক
নিউজ রুম :০২-৯০৩১৬৯৮
মোবাইল: 01727535354, 01758-353660
ই-মেইল: editor@sristybarta.com
© Copyright 2023 - SristyBarta.com
Develop By : BDiTZone.com
themesba-lates1749691102