রামু প্রতিনিধি: রামুর গর্জনিয়া ইউনিয়নের জুমছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটিতে জাল সনদ দিয়ে সভাপতি হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে নব গঠিত কমিটির সভাপতি আজিজ মওলার বিরুদ্ধে সনদ জালিয়াতির মাধ্যমে সরকারের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নীতিমালা লঙ্ঘনের দায়ে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
সোমবার (১১ এপ্রিল) কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এ অভিযোগটি দায়ের করেন- বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সদস্য, দাতাপক্ষ, অভিভাবক ও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। অভিযোগকারিরা হলেন- ইউপি সদস্য আবুল কাশেম, মোহাম্মদ ইউনুচ, গোলাম মওলা, আলমাছ আকতার, কবির হোছাইন, নুরুল আলম, নুর আয়েশা বেগম, বেগম খালেদা হোছাইন, আবদুল ছালাম, জিয়া উদ্দিন, ছুরুত আলম ও আবুল কালাম।
লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে- বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি আজিজ মওলা এসএসসি কিংবা এইচএসসি পাশের পর সৌদি আরবে চলে যান। দীর্ঘদিন প্রবাসে থাকার পর ২০১৬ সালে দেশে চলে আসেন। পরে চলতি বছরের ২ জানুয়ারি জুমছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি গঠনের সময় তিনি একটি জাল স্নাতক সনদ প্রদান করে সভাপতি নির্বাচিত হন। রামু উপজেলা সহকারি শিক্ষা অফিসার মো. আবু শামীমকে সনদটি কোন প্রকার যাচাই না করে গোপনে জাল সনদ প্রদানকারি আজিজ মওলাকে সভাপতি মনোনীত করেন।
এরপর থেকে জাল সনদে নির্বাচিত সভাপতি বিদ্যালয়ের ত্রৈমাসিক পত্র, মাস বিবরনী, শিক্ষকদের বিল বিবরনী, এসএমসি’র নিয়মিত সভা, মা সমাবেশ সহ শিক্ষামূলক বিভিন্ন কর্মকান্ড সম্পাদন করে যাচ্ছেন। যা নিয়ে এলাকাবাসীর মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
জেলা প্রশাসকের কাছে দেয়া এ অভিযোগে এ গুরুতর অভিযোগটি সঠিকভাবে তদন্ত সাপেক্ষে জাল সনদ প্রদানকারি আজিজ মওলাকে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি পদ থেকে বরখাস্ত সহ আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানানো হয়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে রামু উপজেলা সহকারি প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আবু শামীম জানান- জাল সনদ দেয়ার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত জানতে চাইলে জুমছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আজিজ মওলা বলেন- জাল সনদ দেয়ার বিষয়টি সত্য নয়। তিনি ২০০৭ সালে ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ^বিদ্যালয় থেকে স্নাতক পাস করে সৌদি আরব যান। যা তদন্ত হলে সত্য উন্মোচন হবে। তিনি আরো জানান-সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার ৩ মাস পর একটি মহল তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। এরই অংশ হিসেবে এ অভিযোগ দিয়ে তাকে হেয় প্রতিপন্ন করা হচ্ছে।