কুমিল্লা লালমাই উপজেলায় ৯ বছরের শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টায় অভিযুক্ত জেলা ছাত্রলীগ নেতা জয়নাল আবেদিন জয়কে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, চেঙ্গাহাটা চৌমুহনীতে জয়ের একটি ফার্মেসি রয়েছে। তার পাশেই একটি চা দোকান আছে। সোমবার দুপুরে মানুষের উপস্থিতি কম থাকায় চা দোকানির নয় বছরের শিশু দোকানে আসলে ছাত্রলীগ নেতা জয় ওই মেয়েকে তার ফার্মেসিতে ডেকে নেয়। জয় তাকে ফার্মেসির পেছনের রুমে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। কিন্তু শিশুটি চিৎকার করলে অন্যান্য দোকানিরা তাকে উদ্ধার করে।
পরে গ্রাম্য সালিসে নালিশ করলে জয়কে বৈঠকে জুতাপেটা করা হয়। তবে, ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগটি অস্বীকার করেছেন জয়।
ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনায় লালমাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আয়াত উল্লাহ জানান, জয় আমার কাছে স্বীকার করেছেন মেয়েটির কাঁধে হাত দিয়ে জড়িয়ে ধরেছে মাত্র। তারপর তাকে সালিস বৈঠকে জুতাপেটা করা হয়।
তিনি বলেন, যাদের অপকর্মের কারণে ছাত্রলীগ কিংবা আওয়ামী লীগ প্রশ্নবিদ্ধ হয়, এ ধরনের নেতাদের আওয়ামী লীগের মতো সংগঠনে মানায় না। আমরা তার বহিষ্কার দাবি করছি।
অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা জয়নাল আবেদিন জয় অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, মেয়েটি আমার ফার্মেসিতে গিয়েছে। তবে আমি তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করিনি। সালিস বৈঠকে রকেট ভাই আমাকে ডেকে নিয়ে জুতাপেটা করবেন আগে বুঝতে পারিনি।
এ ঘটনায় জয়কে বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত চিঠি কুমিল্লা জেলা ছাত্রলীগের কাছে পাঠায়।
সালিস বৈঠকের বিচারক মাহবুবুর রহমান রকেট বলেন, যৌন নিপীড়নের অভিযোগে এলাকাবাসী জয়কে আটক করে মারধর করেছে। আমার গ্রামের ছেলে হওয়ায় অভিভাবক হিসেবে জুতাপেটা করে তাকে ছাড়িয়ে এনেছি।
এ বিষয়ে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লোকমান হোসেন রুবেল বলেন, অপরাধ ব্যক্তির, দলের নয়। অভিযুক্ত জয়কে বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি, সম্পাদক বরাবর আমরা আবেদন করেছি।
লালমাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আইয়ুব বলেন, বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেই জেনেছি। তবে কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।