জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি জিবা আমিনা আল গাজী বাদী হয়ে ঝালকাঠি সদর ও নলছিটি থানায় দুটি এজাহার দায়ের করেছেন। ওই এজাহারে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমুসহ ৩৯ জনকে আসামি করা হয়েছে।
জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি জিবা আমিনা আল গাজী বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচনে প্রচারণায় গাড়িবহর ও তার ওপর হামলার ঘটনায় এজাহার দুটি করা হয়।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে জিবা আমিনা আল গাজী বাদী হয়ে এজাহার দুটি দায়ের করেন।
সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দুটি এজাহারই মামলা হিসেবে রেকর্ড করার প্রক্রিয়া চলছে। মামলা রেকর্ড করার পর আসামিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জিবা আমিনা আল গাজীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট ফয়সাল খান বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিলেও আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা দলের প্রার্থীকে রাস্তায় নামতে দেয়নি। মামলা হামলা করে তাদের এলাকা ছাড়া করেছে। তখনকার বিএনপির সংসদ সদস্য প্রার্থী জিবা আমিনা আল গাজীর ওপর শেখ হাসিনা ও আমির হোসেন আমুর নির্দেশে ঝালকাঠি ও নলছিটিতে হামলা করা হয়। এ ঘটনায় দুটি থানায় দুটি এজাহার দায়ের করা হয়েছে। রাতের মধ্যেই মামলা রেকর্ড হয়ে যাবে।
মহিলা দল কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি জিবা আমিনা আল গাজী বলেন, ২০১৮ সালে আমি ঝালকাঠি-২ (সদর-নলছিটি) আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলাম। তখন আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীরা শেখ হাসিনা ও আমুর নির্দেশে আমার ওপর হামলা করে। গাড়িও ভাঙচুর করে। এতে আমিসহ অর্ধশত নেতাকর্মী আহত হই। এতদিন ফ্যাসিস্ট সরকারের জুলুম নির্যাতনের কারণে কেউ মামলা করতে পারেনি। এখন সময় এসেছে, তাই ঝালকাঠি ও নলছিটি থানায় দুটি মামলা দায়েরের জন্য এজাহার দিয়েছি। ওসি সাহেবরা জানিয়েছেন তারা এজাহারটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করবেন।
নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুস সালাম বলেন, জিবা আমিনা আল গাজী থানায় এসে এজাহার দিয়ে গেছেন। আমরা পর্যালোচনা করে মামলা রেকর্ড করব।
ঝালকাঠি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, এজাহার দিয়েছেন জিবা আমিনা আল গাজী। মামলা রেকর্ড করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।