রাজধানীর মাটিকাটা এলাকায় বাসায় ঢুকে শাহ আলম (৩৮) নামের এক ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় রহমত উল্ল্যাহ (১৮) নামের একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। হত্যা মামলার তদন্তে বেরিয়ে এসেছে বেশকিছু লোমহর্ষক বিবরণ।
বুধবার রাতে সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা থানা এলাকা থেকে রহমত উল্ল্যাহকে গ্রেফতার করা হয়। ভাষানটেক থানার ওসি মো. দেলোয়ার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
জানা যায়, টাকার প্রলোভন দেখিয়ে ফুসলিয়ে সমকামিতায় লিপ্ত করায় শাহ আলমকে হত্যা করেন দিনমজুর রহমত উল্লাহ। মামলার আসামি জবানবন্দিতে বলেন, ‘প্রায় দেড় বছর ধরে আমার সঙ্গে শাহ আলমের পরিচয়। সে অর্থের লোভ দেখিয়ে ফুসলিয়ে আমার সাথে সমকামিতায় লিপ্ত হতো।’
রহমত উল্ল্যাহ আরো বলেন, আমি ছাড়াও শিশু ও অন্য পুরুষের সঙ্গে সে সমকামিতায় লিপ্ত হতো। তার এই অপকর্ম আমার জীবনকে অতিষ্ট করে দিচ্ছিল, এমন পরিস্থিতির কারনেই আমি ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে হত্যা করি।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য সম্পর্কে ভাষানটেক থানার ওসি মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, গ্রেফতারকৃত অভিযুক্ত রহমত উল্ল্যাহের সঙ্গে শাহ আলমের ১ বছর ধরে পরিচয়। পরিচয়ের সুবাদে তাদের মধ্যে ভালো সর্ম্পক গড়ে উঠে। শাহ আলম টাকার লোভ দেখিয়ে অভিযুক্ত রহমতের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলে।
৩০ ডিসেম্বর রাতে শাহ আলমের বাসায় যায় রহমত। ভিকটিম ঘুমিয়ে গেলে রাত ৪টায় রান্না ঘর থেকে চাকু নিয়ে পিঠে আঘাত করে বালিশ চাপা দিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে রহমত। হত্যায় ব্যবহৃত চাকুটি বিছানার নিচে লুকিয়ে রেখে রুমের দরজায় তালা লাগিয়ে পালিয়ে যায়।
গত ১ জানুয়ারি মিরপুরের ভাষানটেক মাটিকাটা এলাকার একটি ভবনের পাঁচতলার চিলেকোঠার একটি কক্ষ থেকে শাহ আলমের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তাকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয় বলে সে সময় জানিয়েছিলেন ওসি দেলোয়ার।
৩৮ বছর বয়সী শাহ আলম অবিবাহিত ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের ত্রিশালে।