কোভিড নেগেটিভ সনদ ছাড়াই তিন যাত্রীকে পরিবহণ করার অপরাধে টার্কিশ এয়ারলাইন্সকে তিন লাখ টাকা জরিমানা করেছে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কতৃর্পক্ষ।
গত বুধবার দুপুরে ইস্তাম্বুল থেকে টার্কিশ এয়ারলাইন্সের যে ফ্লাইট ঢাকা পৌঁছায়, সেখানে তিনযাত্রীর কোভিড-১৯ টেস্টের কোনো সনদ ছিল না। ওই তিনযাত্রী যুক্তরাষ্ট্র থেকে যাত্রা করে ইস্তাম্বুল হয়ে ঢাকায় পৌঁছান।
ওই তিনযাত্রী যুক্তরাষ্ট্র থেকে যাত্রা শুরুর আগে চিকিৎসকের কাছ থেকে চেকআপ করিয়ে এ মর্মে সনদ নেন যে, করোনার কোনো লক্ষণ তাদের নেই। কিন্তু তাদের কেউই কোভিড শনাক্তকরণের জন্য নির্ধারিত পিসিআর টেস্ট করাননি।
টার্কিশ এয়ারলাইন্স জানতো যে, পিসিআর টেস্ট রিপোর্ট ছাড়া কোনো যাত্রীকে ইস্তাম্বুল থেকে ঢাকাগামী ফ্লাইটে উঠালে, ওই ফ্লাইট ঢাকায় পৌঁছার পর জরিমানা গুণতে হবে। এটা জেনেই তারা ওই দিন ইস্তাম্বুল থেকে ঢাকা যেতে ইচ্ছুক ১০ যাত্রীর সঙ্গে কোভিড পরীক্ষার সনদ না থাকায় তাদের অফলোড করে দিয়েছিল বলে জানায়। এরপরও চেকইনের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তি বিশেষের ভুলে যুক্তরাষ্ট্র থেকে যাত্রা করা তিনযাত্রী ঢাকায় আসতে সমর্থ হন।
এ প্রসঙ্গে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ জামিল জানান, যাত্রীরা ভুলে সনদ কোথাও ফেলে এসেছেন কি-না, সেটি খতিয়ে দেখতে তাদের জরিমানা করার আগে সময় দেয়া হয়েছিল। পরে তারা কোনো কোভিড নেগেটিভ সনদ নিয়ে আসেননি নিশ্চিত হওয়ায় টার্কিশ এয়ারলাইন্সকে তিন লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। ওই তিন যাত্রীকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনেও পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, বিদেশ থেকে বাংলাদেশে আসতে হলে আকাশযাত্রা শুরুর ৭২ ঘণ্টা বা তারও কম সময় বাকি থাকতে নমুনা দিয়ে পিসিআর টেস্ট করিয়ে কোভিড নেগেটিভ রিপোর্ট হাতে নিয়ে আসতে হবে। এ ব্যাপারে কোনো ছাড় নেই। এ নিয়মের ব্যত্যয় ঘটালে এয়ারলাইন্স বিচারের মুখোমুখি হবে। আর যাত্রী যাবেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পরিচালিত প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে।
প্রসঙ্গত, কোভিড নেগেটিভ সনদ ছাড়া যাত্রী পরিবহন ও মেয়াদোত্তীর্ণ সনদ আনার দায়ে এ পর্যন্ত ১৬টি এয়ারলাইন্সকে ৩০ লাখ টাকা জরিমানা করেছে শাহজালাল আন্তজার্তিক বিমানবন্দর কতৃর্পক্ষ।