ইতালি থেকে চট্টগ্রামে ডাকযোগে আসা পিস্তল ও কার্তুজের প্রাপক মজুমদার কামরুল হাসানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে তাকে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরিফুল ইসলামের আদালতে তুলে সাত দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ। শুনানি শেষে বিচারক তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে, সোমবার মধ্যরাতে নগরীর হালিশহর আই ব্লকের খালপাড়া এলাকার শ্বশুরবাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার ব্যক্তি চট্টগ্রাম কর অঞ্চল-১ এর কর্মচারী। একইদিন সোমবার বন্দর থানায় মামলাটি করেন চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন। মামলায় আসামি করা হয়েছে- পিস্তলের প্রাপক মজুমদার কামরুল হাসান ও প্রেরক রাজিব বড়ুয়া।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের উপকমিশনার মোহাম্মদ সালাউদ্দিন রেজভী জানান, রবিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম বন্দরের বৈদেশিক ডাকঘর শাখায় ইতালি থেকে পার্সেল হিসেবে একটি কার্টন আসে। সেটিতে তল্লাশি চালিয়ে এর ভেতরে ফ্রাই ফ্যান, কাঁচের গ্লাস, ড্রিল মেশিন, চকলেট, কসমেটিকস, হ্যান্ড ব্লেন্ডারসহ বিভিন্ন গৃহস্থালির জিনিসের সঙ্গে লুকানো অবস্থায় দুইটি এইট এমএম পিস্তল, ৬০টি কার্তুজ ও দুইটি পিস্তল সদৃশ খেলনা উদ্ধার করা হয়। দুটি পিস্তলই ইতালির তৈরি। ইতালি থেকে পাঠিয়েছেন রাজিব বড়ুয়া নামে আরেক বাংলাদেশি প্রবাসী। চালানটি চট্টগ্রাম নগরের আগ্রাবাদ সিজিএস কলোনির এফ-৭৪/৮ মজুমদার কামরুল হাসান নামে ওই ব্যক্তির ঠিকানায় এসেছে।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের বন্দর থানার ওসি মো. জাহেদুল কবির বলেন, ‘সোমবার রাতে ডবলমুরিং থানা পুলিশের সহায়তায় অস্ত্রের প্রাপক মজমদার কামরুল হাসানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। আদালত শুনানি শেষে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।’