ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) সংযুক্ত ওয়ার্ড শ্যামপুর, দনিয়া, মাতুয়াইল ও সারুলিয়ায় ৭৬৩ কোটি টাকা ব্যয়ে উন্নয়নমূলক কাজে অনিয়মের অভিযোগে ডিএসসিসিকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে স্থানীয় সরকার।
ডিএসসিসির সংযুক্ত এসব ওয়ার্ডে ৭৬৩ কোটি টাকা ব্যয়ে রাস্তা নির্মাণ করা হয়। তবে বছর না পেরুতেই সড়কের বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দ সৃষ্টির পাশাপাশি ধরেছে ফাটল। এ নিয়ে এলাকাবাসীর রয়েছে বিস্তর অভিযোগ।
জানা গেছে, নিজের এই দুর্নীতি আড়াল করতে কর্পোরেশনের বিভিন্ন কর্মকর্তাদের সঙ্গে সখ্যতা করে চলছেন প্রকল্প পরিচালক কাজী বোরহান উদ্দিন।
২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসে ৭৬৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের নবসংযুক্ত শ্যামপুর, দনিয়া, মাতুয়াইল এবং সারুলিয়া এলাকার সড়ক অবকাঠামো ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়নে প্রকল্পটি অনুমোদন দেয়।
২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে এই প্রকল্পের শতভাগ কাজ সম্পন্ন হয়। কিন্তু বছর না পেরুতেই এসব এলাকার অধিকাংশ রাস্তায় খানাখন্দ আর গর্তের সৃষ্টি হয়। ২০১৯ সালে কাজ শেষ হওয়ার পরে এরই মধ্যে দুইবার সংস্কারও করা হয়েছে।
প্রকল্পে রাস্তার পাশে ড্রেনেজ ও বৃক্ষরোপণ করার কথা থাকলেও আদতে এসবের কিছুই করা হয়নি। এর ফলে সামন্য বৃষ্টিতে সড়কে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে স্থানীয় লোকজনের অভিযোগের শেষ নেই।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, রাস্তায় দুর্বল পাইলিং, রড কম দেয়াসহ নানা কারণে নির্মাণের ছয় মাসের মধ্যেই বিভিন্ন স্থান ভেঙে যায়। নির্মাণ কাজ চলাকালীন নিম্নমানের কাজের বিষয়ে এলাকাবাসী বারবার সচেতন করলেও কর্তৃপক্ষ কর্ণপাত করেনি।
অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ডিএসসিসি সংযুক্ত ওয়ার্ডগুলোতে সড়ক অবকাঠামো ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা উন্নয়ন শীর্ষক সমাপ্ত প্রকল্প কাজে এসব অনিয়ম ও অভিযোগের বিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মতামত স্থানীয় সরকার বিভাগকে জরুরি ভিত্তিতে জানানোর জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
প্রকল্প পরিচালক কাজী বোরহান উদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই বিষয়ে আমি জড়িত নই, এসব মিথ্যা। প্রমাণ সাপেক্ষে এ বিষয়ে আবারো জানতে চাইলে তিনি ক্ষেপে যান এবং ফোন কেটে দেন।
এ বিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বিএম আমিন উল্লাহ নুরী বলেন, এই বিষয়ে অভিযোগ রয়েছে এবং তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে না।