ads
মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:১১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
মাদারীপুরের শিবচরে গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ, স্বামী পলাতক বিপিএলের উদ্বোধন: নতুনরূপে শুরু হলো জমকালো আয়োজন হাসিনাকে ফেরত চেয়ে ঢাকার পাঠানো চিঠি পেয়েছে নয়াদিল্লি বৈষম্যবিরোধী হত্যাচেষ্টা মামলায় ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার মুক্তিযোদ্ধার গলায় জুতার মালা পরানোর ভিডিও ভাইরাল, যা জানা গেল হাসিনাকে ফিরিয়ে এনে বিচার করা সরকারের দায়িত্ব: জোনায়েদ সাকি পরকীয়া প্রেমের জের, জোরপূর্বক ধর্ষণের পর কুপিয়ে জখম অবৈধ সম্পদ অর্জন: দুদকের মামলার জালে সাবেক এমপি হেনরী দম্পতি নিম্নমাধ্যমিক-মাধ্যমিক স্কুলে ২০২৫ সালের ছুটির তালিকা প্রকাশ শিল্পকলার লাকীসহ ২৪ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

ড. ইউনূসের প্রশ্ন: সভ্য দেশের নাগরিককে কেন পশুর মতো খাঁচায় দাঁড়িয়ে থাকতে হবে

সৃষ্টিবার্তা ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ১২ জুন, ২০২৪
  • ৪৭ বার পঠিত

আদালতের কাঠগড়ার বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, আজকে সারাক্ষণ খাঁচার ভেতর ছিলাম। আসামিদের অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ার আগে তাদের খাঁচার ভেতরে রাখা ন্যায্য হলো কি না? এটা আমার কাছে গর্হিত কাজ মনে হয়। এ বিষয়ে সবাই আওয়াজ তুলুন। আমার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না বিষয়টা তা নয়। একটা সভ্য দেশে নাগরিককে কেন পশুর মতো দাঁড়িয়ে থাকতে হবে? যেখানে বিচার শুরু হয়নি। অপরাধ সাব্যস্ত হয়নি।

যদিও বলা হয়েছিল ড. ইউনূস ছাড়া অন্য আসামিদের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে। তবে ড. ইউনূস নিজেই কাঠগড়ায় গিয়ে দাঁড়ান।

এসময় বুধবার (১২ জুন) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক সৈয়দ আরাফাত হোসেন ইউনূসসহ ১৪ জনের অব্যাহতির আবেদন খারিজ করে তাদের অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন। আর আসামিরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করেন। এরপর ড. ইউনূস আদালত থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।

তিনি বলেন, যারা আইনজ্ঞ আছেন, তারা বিষয়টি বিবেচনা করে দেখুন। সারা পৃথিবীতে যে সভ্য দেশগুলো আছে, আমরা তাদের মধ্যে পড়ি কি না এটাও বিবেচনা করে দেখতে হবে।

অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা সারা জীবন মানুষের সেবা করে কাটিয়েছি। অর্থ আত্মসাৎ কেন করতে যাবো? কাজেই এখানে কেন হচ্ছে? এটাই হলো হয়রানি।

ড. ইউনূস আরও বলেন, আমাকে নানা ধরনের কথা বলে হয়রানি করা হচ্ছে। এ বিষয়গুলো আমি বারবার বলেছি। আমাকে বলা হচ্ছে- সুদখোর, অর্থ আত্মসাৎকারী। আমি নাকি পদ্মা সেতুর টাকা আটকিয়ে দিয়েছি। এসব কথা বারবার বলা হচ্ছে। এভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। আমাকে ২০১১ সালেই বলা হয়েছিল রাজনৈতিক দল গঠনের বিষয়ে। আমি বারবার বলেছি এটা আমার বিষয় না। আমি রাজনৈতিক দল গঠন করবো না।

সবশেষ এই নোবেলজয়ী বলেন, মূলত আমার ওপর দেব-দেবীরা ক্ষুব্ধ। সেজন্য হয়রানির শিকার হচ্ছি।

এর আগে ২ জুন দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করতে শুনানি করেন। অপরদিকে ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের পক্ষের আইনজীবী অব্যাহতি চেয়ে শুনানি করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত এ বিষয়ে আদেশের জন্য আজকের দিন ধার্য করেন। মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ১৫ জুলাই দিন ধার্য করেন আদালত।

২০২৩ সালের ৩০ মে গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। সংস্থাটির উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে মামলা করেন।

২০২৪ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার। এ মামলায় আসামি ছিলেন ১৩ জন। পরে চার্জশিটে নতুন একজন আসামির নাম যুক্ত হয়।

আসামিদের বিরুদ্ধে ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। ২ এপ্রিল ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আস সামছ জগলুল হোসেনের আদালত এ চার্জশিট গ্রহণ করে মামলার বিচারের জন্য ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এ বদলির আদেশ দেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা জালিয়াতির মাধ্যমে ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা আত্মসাৎ করেন। সদস্যদের উপস্থিতিতে ২০২২ সালের ৯ মে অনুষ্ঠিত ১০৮তম বোর্ডের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ঢাকা ব্যাংকের গুলশান শাখায় হিসাব খোলা হয়। গ্রামীণ টেলিকমের কর্মচারীদের পাওনা লভ্যাংশ বিতরণের জন্য গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন এবং গ্রামীণ টেলিকমের সঙ্গে সেটেলমেন্ট অ্যাগ্রিমেন্ট চুক্তি হয় ওই বছরের ২৭ এপ্রিল।

এজাহারে আরও বলা হয়, গ্রামীণ টেলিকমের বোর্ড সভার হিসাব খোলার সিদ্ধান্ত ৯ মে হলেও হিসাব খোলা হয় একদিন আগে ৮ মে। সেটেলমেন্ট অ্যাগ্রিমেন্টেও ৮ মে ব্যাংক হিসাব দেখানো আছে, যা বাস্তবে অসম্ভব। এরকম ভুয়া সেটেলমেন্ট অ্যাগ্রিমেন্টের শর্ত অনুযায়ী ও ১০৮তম বোর্ডের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ২০২২ সালের ১০ মে গ্রামীণ টেলিকমের ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের মিরপুর শাখা থেকে ঢাকা ব্যাংকের গুলশান শাখায় ৪৩৭ কোটি ১ লাখ ১২ হাজার ৬২১ টাকা স্থানান্তর হয়।

পরবর্তী সময়ে ২২ জুন গ্রামীণ টেলিকমের ১০৯তম বোর্ড সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অ্যাডভোকেট ফি হিসেবে অতিরিক্ত ১ কোটি ৬৩ লাখ ৯১ হাজার ৩৮৯ টাকা প্রদানের বিষয়টি অনুমোদন দেওয়া হয়। অন্যদিকে ঢাকা ব্যাংকের গুলশান শাখার হিসাব থেকে গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন নামীয় ডাচ-বাংলা ব্যাংকের লোকাল অফিসের হিসাব থেকে তিন দফায় মোট ২৬ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা স্থানান্তর হয়।

মামলার এজাহারে বলা হয়, কিন্তু কর্মচারীদের লভ্যাংশ বিতরণের আগেই তাদের প্রাপ্য অর্থ না জানিয়ে অসৎ উদ্দেশ্যে ২০২২ সালের মে ও জুন মাসের বিভিন্ন সময়ে সিবিএ নেতা মো. কামরুজ্জামানের ডাচ-বাংলা ব্যাংকের মিরপুর শাখার হিসাবে মোট ৩ কোটি টাকা, সিবিএ নেতা মাইনুল ইসলামের হিসাবে ৩ কোটি ও সিবিএ নেতা ফিরোজ মাহমুদ হাসানের ডাচ-বাংলা ব্যাংক মিরপুর শাখার হিসাবে ৩ কোটি টাকা স্থানান্তর হয়।

একইভাবে অ্যাডভোকেট মো. ইউসুফ আলীর কমার্শিয়াল ব্যাংক অব সিলনের ধানমন্ডি শাখার হিসাবে ৪ কোটি টাকা পাঠানো হয়। দ্য সিটি ব্যাংকের গুলশান শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের কলকারখানা এবং প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের উপ-মহাপরিদর্শক গ্রামীণ টেলিকম কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ সংবলিত একটি প্রতিবেদন দুদকে পাঠানো হয়। ওই প্রতিবেদনের সূত্র ধরে ২০২২ সালের ২৮ জুলাই শুরু হয় অনুসন্ধান।

আসামিরা হলেন গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূস, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজমুল ইসলাম, পরিচালক ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক পারভীন মাহমুদ, নাজনীন সুলতানা, মো. শাহজাহান, নূরজাহান বেগম ও পরিচালক এস. এম হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী।

এছাড়া অ্যাডভোকেট মো. ইউসুফ আলী, অ্যাডভোকেট জাফরুল হাসান শরীফ, গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ হাসান ও প্রতিনিধি মো. মাইনুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক কামরুল ইসলামকে আসামি করা হয়েছে।

সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর

Prayer Time Table

  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৫:১১
  • ১১:৫৯
  • ১৫:৪০
  • ১৭:১৯
  • ১৮:৩৮
  • ৬:৩৬
ইঞ্জিনিয়ার মোঃ ওয়ালি উল্লাহ
নির্বাহী সম্পাদক
নিউজ রুম :০২-৯০৩১৬৯৮
মোবাইল: 01727535354, 01758-353660
ই-মেইল: editor@sristybarta.com
© Copyright 2023 - SristyBarta.com
Develop By : BDiTZone.com
themesba-lates1749691102