জাকির হোসেন চৌধুরী নামে এক ব্যবসায়ী ঢাকা রেঞ্জের পুলিশ সুপার (ট্রেনিং অ্যান্ড মিডিয়া) জিয়াউল হকের বিরুদ্ধে পাঁচ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলা করেছেন। আদালত এ বিষয়ে জবাব দেয়ার জন্য আগামী ১৫ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন।
আজ মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ উৎপল ভট্টাচার্যের আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, মামলার বাদীর ভাই বাচ্চু হোসেন গোপালগঞ্জে বেকারির দোকানে কাজ করতেন। গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মনিরুল ইসলাম ও এসআই গোলাম কিবরিয়া প্রায় সময় দোকানে এসে, দোকানের মালামাল নিয়ে টাকা না দিয়ে চলে যেতেন। একদিন পুলিশের ওই দুই কর্মকর্তা দোকানে এসে কফি খেতে চান। বাচ্চু মিয়া কফির পানি গরম নেই বললে তারা চলে যান। এরপরে গত সাত মে প্রবাল বিশ্বাস তার দোকানে এসে চা পান করে চলে যাওয়ার পর আবার কিছুক্ষণ পরে এসে বাচ্চুকে বলেন তোমার দোকানে একটি ব্যাগ ফেলে গেছি। তুমি কি পেয়েছ? যাতে এক লাখ ৬৫ হাজার টাকা ছিল। তখন বাচ্চু ব্যাগ পাইনি বলে জানালে এসআই গোলাম কিবরিয়া তাকে থানায় নিয়ে বেদম প্রহার করে সাদা কাগজে সই নিয়ে ছেড়ে দেন।
এরপর থানা থেকে বের হয়ে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি হন বাচ্চু মিয়া। হাসপাতাল থেকে ১৬ মে রিলিজ নিয়ে পুলিশ সদর দপ্তরে নির্যাতনের বিচার চেয়ে আবেদন করেন। এর তদন্তভার দেয়া হয় এসপি জিয়াউল হককে। তিনি অভিযোগের সত্যতা পাননি বলে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
এদিকে পুলিশে অভিযোগ দেয়ার পর বাচ্চু ও তার স্ত্রী সাহিদার বিরুদ্ধে গোপালগঞ্জে পুলিশের সোর্স মিথ্যা মামলা করেন। নির্যাতনের পরও পুলিশ বাচ্চুর বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দেয়ায় পাঁচ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে দাবি করে তার ভাই জাকির হোসেন চৌধুরী বাদী হয়ে এই মামলা করেন।