বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৫৬তম জন্মদিন আজ। সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রয়াত জিয়াউর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার এই জ্যেষ্ঠ পুত্র ১৯৬৫ সালের ২০ নভেম্বর বগুড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, দেশের চলমান সংকটময় পরিস্থিতিতে আমাদের নেতার জন্মদিনে কোনো উৎসব করতে পারছি না। এবার আর আমরা কেক কাটব না। তার জন্য দোয়া করব।
দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ও দপ্তরের দায়িত্বে থাকা সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স জানান, বিএনপির উদ্যোগে ঢাকাসহ দেশব্যাপী দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সুস্বাস্থ্য, সাফল্য ও দীর্ঘায়ু কামনায় দোয়া হবে। নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় শুক্রবার সকাল ১০টায় দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে।
তারেক রহমান রাজনীতিতে আসেন মাত্র ২২ বছর বয়সেই। ১৯৮৮ সালে বগুড়ার গাবতলী থানা বিএনপির সদস্য হন তিনি। ১৯৯১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে মা খালেদা জিয়ার সহচর হিসেবেই সারাদেশের নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেন। ২০০১ সালের নির্বাচনেও মায়ের পাশাপাশি দেশব্যাপী নির্বাচনী প্রচারণা চালান তারেক। দলের স্থায়ী কমিটি ২০০২ সালে তারেক রহমানকে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিবের দায়িত্ব দেয়। এক-এগারোর সরকারের সময় ২০০৭ সালের ৭ মার্চ প্রথমবারের মতো গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে
যান তিনি। ২০০৮ সালে জামিনে মুক্তি পেয়ে চিকিৎসার জন্য তারেক রহমান লন্ডনে যান। সেই থেকে স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমান ঝুনু, একমাত্র কন্যা জাইমা রহমানকে নিয়ে সেখানেই আছেন। ২০০৯ সালে দলের পঞ্চম কাউন্সিলে তাকে দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত করা হয়। ২০১৬ সালের ১৯ মার্চের কাউন্সিলেও একই পদে রাখা হয় প্রবাসে থাকা তারেককে।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কারাবন্দি হলে দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পান তারেক রহমান। শর্তসাপেক্ষে মা কারামুক্ত হলেও দলীয় প্রধানের ভার এখনো তার কাঁধেই।
তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে বাণী দিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, দেশের জনগোষ্ঠীর তৃণমূলে দীর্ঘদিনের অচলায়তন কাটিয়ে প্রাণসঞ্চার করেছেন তারেক রহমান। মিথ্যা মামলায় নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার-হয়রানি ও গুম করা হচ্ছে। এই দুঃসময়ে তারেক রহমানের নিঃশঙ্ক মনোবল ও দৃঢ় নেতৃত্ব দুঃশাসনের বিরুদ্ধে জাতীয়তাবাদী শক্তিকে উজ্জীবিত করছে। আমি তার আশু সুস্থতা, সাফল্য, সুখী ও দীর্ঘজীবন কামনা করছি।