অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় এমপি হাজী সেলিমের ১০ বছরের সাজা বহাল রেখেছেন আদালত। এছাড়া ১০ লাখ টাকার জরিমানাও বহাল রাখা হয়েছে।
একই সঙ্গে তথ্য গোপনের দায়ে তার ৩ বছরের সাজা বাতিল করা হয়েছে। রায়ের কপি পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে তাকে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলেছেন উচ্চ আদালত।
মঙ্গলবার দুপুরে বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি এ.কে.এম. জহিরুল হকের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। এর আগে সকাল ১১টার দিকে রায় পড়া শুরু করেন বিচারপতি মো. মঈনুল ইসলাম চৌধুরী।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বিচারিক আদালতের দেয়া ১৩ বছরের দণ্ডের মামলার আপিলের ওপর শুনানি শেষে রায় ঘোষণার জন্য ৯ মার্চ দিন ধার্য করেন হাইকোর্ট।
২০০৭ সালের ২৪ অক্টোবর হাজী সেলিমের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে লালবাগ থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলায় ২০০৮ সালের ২৭ এপ্রিল তাকে ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত।
২০০৯ সালের ২৫ অক্টোবর এ রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন হাজী সেলিম। ২০১১ সালের ২ জানুয়ারি হাইকোর্ট তার সাজা বাতিল করেন। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে দুদক।
ওই আপিলের শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ১২ জানুয়ারি হাইকোর্টের রায় বাতিল করেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে হাইকোর্টে ওই আপিল (হাজী সেলিমের) পুনরায় শুনানি করতে বলা হয়। এরপর প্রায় পাঁচ বছর ওই আপিলের শুনানি হয়নি।
তবে সম্প্রতি আপিলটি শুনানির উদ্যোগ নেয় দুদক। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১১ নভেম্বর হাইকোর্ট বিচারিক আদালতে থাকা মামলার যাবতীয় নথি (এলসিআর) তলব করেন।
এরপর কয়েক দিবস শুনানি শেষে ২৪ ফেব্রুয়ারি আপিলটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখা হয়। দুর্নীতির এ মামলায় ঢাকা-৭ আসনের এমপি হাজী সেলিম বর্তমানে জামিনে আছেন।