ads
সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৫:৪১ পূর্বাহ্ন

দেশে ধানের দাম কমলেও প্রভাব পড়েনি চালের বাজারে

রিপোর্টারের নাম
  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ২ জুন, ২০২২
  • ৪০ বার পঠিত

রাজশাহীর বাজারে ধানের দাম কয়েকদিনের ব্যবধানে মণপ্রতি ৫০ থেকে ১০০ টাকা কমেছে। মন্ত্রিসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভরা মৌসুমে ধান-চালের দাম বেশি হওয়ার কারণ উদ্ঘাটন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়ার পরপরই ধানের দাম কমেছে। কিন্তু চালের দামে এর কোনও প্রভাবই পড়েনি।

চালের খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরবরাহের ওপর ভিত্তি করে চালের বাজার দর নির্ধারিত হয়। এখন পর্যন্ত চালের সরবরাহ তেমন বাড়েনি। এ কারণে চালের দামও কমেনি। তবে চালের দাম আগামী কয়েকদিনের মধ্যে কিছুটা কমার সম্ভাবনা রয়েছে।

জানা গেছে, রাজশাহী জেলার মোকামগুলোতে গত তিন দিন আগেও ধানের সরবরাহ অনেক কম ছিল। সে সময় প্রতি মণ আঠাশ জাতের ধান বিক্রি হয়েছে সাড়ে ১৩শ’ থেকে সাড়ে ১৪শ’ টাকায়। জিরা বা মিনিকেট ধান বিক্রি হয়েছে প্রতি মণ সাড়ে ১৪শ’ থেকে ১৫শ’ টাকায়। যা গত মঙ্গলবার ও বুধবার মণপ্রতি ৫০ থেকে ১০০ টাকা কমে বিক্রি হয়েছে। প্রতি মণ আঠাশ ধান বিক্রি হয়েছে সাড়ে ১২শ’ থেকে সাড়ে ১৩শ’ টাকা। জিরা বা মিনিকেট ধান বিক্রি হয়েছে প্রতিমণ সাড়ে ১৩শ’ থেকে ১৪শ’ টাকায়।

ধানের পাইকারি ক্রেতারা জানান, বিগত বছরগুলোতে ধান কাটার পর এ সময়ে মোকামগুলোতে অনেক ধান থাকে। এ কারণে ধানের দামও কম থাকে। কিন্তু এখন যে ধান বাজারে এসেছে তার পরিমাণ কম। এর মধ্যে চালের বড় বড় মিল মালিকরা বেশি দামে ধান কিনে মজুত করছেন।

রাজশাহীর পবা উপজেলার রবিউল ইসলাম নামে পাইকারি ক্রেতা বলেন, ‘আমরা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। প্রতি হাটে ২০ থেকে ৩০ মণ কিনে সেটা শুকিয়ে বাজারে চাল বিক্রি করি। বড় মিল মালিকরা বেশি দামে ধান কিনে নিচ্ছেন। এর মধ্যে ধানের সরবরাহ কম। এ কারণে বিগত মৌসুমে যে ধান প্রতি মণ ৯০০ থেকে ১১শ’ টাকায় বিক্রি হয়েছে, সেটি এখন সাড়ে ১৩শ’, সাড়ে ১৪শ’, ১৫শ’ পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। তবে মঙ্গলবার (৩১ মে) থেকে মণপ্রতি ১০০ টাকা কমেছে।

এদিকে, ধানের দামের সঙ্গে নগরীর বাজারে বৃদ্ধি পাওয়া চালের দাম কমার কোনও আভাস নেই। বুধবার নগরীর বাজারে প্রতি কেজি আঠাশ চাল বিক্রি হয়েছে ৫৪ থেকে ৬০ টাকায়। জিরা বা মিনিকেট চাল কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৬২ থেকে ৬৮ টাকা।

রাজশাহী নগরীর সাহেব বাজারের এপি চাল ভান্ডারের মালিক মিলন জানান, গত এক সপ্তাহে চালের দাম ওঠানামা করেনি। এক সপ্তাহ আগে দাম প্রতি কেজিতে এক থেকে দুই টাকা দাম বেড়েছিল। সরবরাহ বাড়লে চালের দাম বাড়বে। আগামী কিছুদিনের মধ্যে দাম দুই-এক টাকা কমতে পারে।

রাজশাহী নগরীর পাইকারী চাল ব্যবসায়ী সততা চাল ভান্ডারের ম্যানেজার সোলাইমান আলী জানান, তারা ৮৪ কেজির বস্তা আঠাশ চাল পাঁচ হাজার টাকা এবং জিরা বা মিনিকেট চাল চার হাজার ৭শ’ থেকে চার হাজার ৭৫০ টাকা দরে বিক্রি করেছেন। এটি নতুন চাল। তাদের কাছে পুরনো চাল নেই। পুরনো চালের দাম বস্তাপ্রতি আরও এক থেকে দুইশ’ টাকা বেশি। ধানের দাম কমেছে। এর প্রভাব এখনও চালের বাজারে পড়েনি। সামনে হয়তো কমতে পারে।

রাজশাহীতে বড় বড় মিল মালিকদের অনেকেই অবৈধভাবে মজুত বাড়িয়ে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে ফায়দা নিচ্ছেন, এমন অভিযোগ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, চালের খুচরা বিক্রেতাসহ ক্রেতাদের। যার সত্যতাও স্বীকার করছেন রাজশাহীর ভারপ্রাপ্ত জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. দিলদার মাহমুদ। তিনি জানান, জেলায় বৈধ মিল রয়েছে ১৪৮টি। এর বাইরে অনেক মিল অবৈধভাবে আছে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান।

তিনি আরও জানান, বুধবার গোদাগাড়ীর এমন দুটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে বৈধ মিলগুলোর মধ্যেও অনেকে অবৈধভাবে মজুত করে। বিভিন্ন সময় পর্যবেক্ষণে এমন চিত্র উঠে এসেছে। কিন্তু এসব রাঘব বোয়ালদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন। এককভাবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যায় না।

সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর

Prayer Time Table

  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৫:১৬
  • ১২:১৬
  • ১৬:১৯
  • ১৮:০০
  • ১৯:১৪
  • ৬:২৮
ইঞ্জিনিয়ার মোঃ ওয়ালি উল্লাহ
নির্বাহী সম্পাদক
নিউজ রুম :০২-৯০৩১৬৯৮
মোবাইল: 01727535354, 01758-353660
ই-মেইল: editor@sristybarta.com
© Copyright 2023 - SristyBarta.com
Develop By : BDiTZone.com
themesba-lates1749691102