“দয়া নয় কর্ম চাই বাঁচার মতো বাঁচতে চাই” এই স্লোগানকে ধারণ করে দেশে বেকারত্ব মহামারী নিরসনে অন্তবর্তীকালীন সরকারের কাছে বাংলাদেশ গণ অধিকার পরিষদের অঙ্গ সংগঠন বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদের ৭ দফা প্রস্তাবনা বাস্তবায়নের দাবিতে শেরপুরে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২০ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বিকাল ৫ টায় শেরপুর শহরের খোয়ারপাড় শাপলাচত্বর মোড় ঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
শেরপুর জেলা যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মাজহারুল ইসলাম মাসুদের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন যুব অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম মেহেদী।
মাজহারুল ইসলাম মেহেদী বলেন, প্রবাসী শ্রম বাজারে দক্ষ জনশক্তি রপ্তানির ক্ষেত্রে সরকারি অর্থায়নে উচ্চমানের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে, বিদেশে জনশক্তি রপ্তানির ক্ষেত্রে দালাল মুক্ত ঘুষবিহীন পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে, এছাড়া প্রবাসী এবং তার পরিবারের মৌলিক অধিকার এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করতে হবে এবং বর্তমান শিক্ষা ব্যাবস্তাকে পরিবর্তন ও পরিবর্ধন করে যুগ উপযোগী কর্মমুখী শিক্ষা ব্যবস্থা প্রণয়ন করতে হবে ।
যুব অধিকার পরিষদ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল তানভীর, রাজশাহী মহানগর যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মহিবুল ইসলাম শুভ উক্ত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন।
এছাড়াও সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হক সাবান, সাংগঠনিক সম্পাদক আবির আহমেদ সুজন, সহ-সভাপতি কামরুজ্জামান, সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান মিজান, সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আমিনুল ইসলাম, যুগ্ম সাঃ সম্পাদক নূর উদ্দিন, আরিফ সাফারি, আনোয়ার হোসেন, সাইদুল ইসলাম, লোকমান হোসেন, শাহ জামাল হক, নূরনবী, আবু সুফিয়ান, রেজাউল, মাজেদুল, মাসুম, ঝিনাইগাতী উপজেলা যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি আরিফুল ইসলাম, সাঃ সম্পাদক সুজন আহম্মেদ, ছাত্র অধিকার পরিষদ শেরপুর জেলা শাখার সাবেক সহ-সভাপতি শামসুজ্জামান শিবলু ও সংগ্রামী সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মনির, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আল আমিন, সদর উপজেলার সাঃ সম্পাদক রিফাত হোসেন, পেশাজীবি অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক আহমেদসহ সকল অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধনে ৭ দফা তুলে ধরে সভাপতি মাজহারুল ইসলাম মাসুদ বলেন, বাংলাদেশের বেকার সমস্যা সমাধানের জন্য সুদ বিহীন, জামানতবিহীন ব্যাংক ঋণ প্রদান, স্থানীয় পর্যায়ে শিক্ষিত তরুণ সমাজকে প্রশিক্ষিত করে আর্থ সামাজিক উন্নয়নে কাজে লাগাতে হবে এবং নতুন নতুন উদ্যোক্তা তৈরি করতে হব।
তিনি আরো বলেন “বেকার যুবকদের ঋণ প্রদান করলে তারা অন্তত ব্যাংক লুট করার মত পরিস্থিতি তৈরি করবে না এবং দেশের টাকা বিদেশে পাচার করে দিবে না।”
সরকারি চাকরিতে আবেদন ফি বাতিল, বৈষম্যহীন চাকরির ক্ষেত্র নিশ্চিত, চাকুরীতে ঘোষ আদান-প্রদান বন্ধ, স্থানীয় পর্যায়ে কর্মক্ষেত্র সৃষ্টি করতে হবে। কেননা দক্ষ জনবল দেশের বড় সম্পদ জনগণকে সম্পদে পরিণত না করতে পারলে দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন কখনোই সম্ভব নয়। “