নওগাঁর সাপাহারে সুমি (১৭) নামে এক কিশোরী গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার মাতৃছায়া ছাত্রাবাস থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সে উপজেলার উত্তরপাতাড়ী গ্রামের তফিজুল ইসলামের ছেলে সেলিম রেজার স্ত্রী।
স্থানীয়রা ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৯ মাস আগে সেলিমের সাথে সুমির বিয়ে হয়। বিয়ের পর কোম্পানিতে চাকরির সুবাধে স্ত্রীকে বাড়িতে রেখে উপজেলা সদরের সৌদি মসজিদ সংলগ্ন মাতৃছায়া ছাত্রাবাসের একটি রুম ভাড়া নিয়ে থাকতেন সেলিম। গত মঙ্গলবার তাদের কোনো এক আত্মীয়র মৃত্যু হলে গৃহবধূর বাবা তাকে স্বামীর বাড়ি থেকে ওই আত্মীয়র বাড়িতে নিয়ে যান।
বুধবার দুপুরে সুমির বাবা তাকে স্বামীর বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার জন্য সাপাহার সদরের জিরো পয়েন্টে নিয়ে আসেন। সেখান থেকে সেলিম তার স্ত্রীকে মাতৃছায়া ছাত্রাবাসে নিয়ে যান। কিন্তু এদিন সন্ধ্যার দিকে সেলিম তার শ্বশুরকে মোবাইলে ফোনে জানায়, ছাত্রাবাসে তার মেয়ে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
খবর পেয়ে সুমির পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে আসলে কৌশলে সেলিম সেখান থেকে পালিয়ে যান। এরপর খবর পেয়ে সন্ধ্যায় সাপাহার থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে গলায় গামছা পেছানো অবস্থায় গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে।
সাপাহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারেকুর রহমান সরকার জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে লাশের শরীরের বিভিন্ন আলামত দেখে থানায় নিয়মিত হত্যা মামলা রেকর্ড হয়েছে।