ads
রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ০৫:৩৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
প্রেস ক্লাবের সামনে আন্দোলনকারীদের ওপর জলকামান-সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ সার্বভৌমত্ব রক্ষায় নবীন কর্মকর্তাদের প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের স্বৈরাচারের দোসর আরও ৩৯ আমলার দ্রুত অপসারণ দাবি জুলাই ঐক্যের ধর্ষণের পর গর্ভপাত: সালিশে ব্যর্থ, মামলাও নেয়নি পুলিশ হামলা ঠেকাতে ইসরায়েলের ব্যয় দিনে ২০০ মিলিয়ন ডলার ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরায়েলের হামলা বিপজ্জনক নজির: জাতিসংঘে চীনা দূত বেদখল খাসজমি উদ্ধারে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ ভূমি উপদেষ্টার বান্দরবানের লামায় সেনাবাহিনীর অভিযান, ৯ সন্ত্রাসী আটক দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে ট্রেনে কাটা পড়ে নারীর মৃত্যু শ্রীবরদীতে মাছের ঘেরে ২ শিশুর মরদেহ, দুর্ঘটনা নাকি হত্যাকাণ্ড!

নবম-দশম শ্রেণির ৩ বইয়ের ৯টি সংশোধনী দিয়েছে এনসিটিবি

রিপোর্টারের নাম
  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ১৮ জানুয়ারি, ২০২৩
  • ৪৫ বার পঠিত

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) নবম ও দশম শ্রেণির ৩টি বইয়ের কিছু ভুলের সংশোধনী দিয়েছে। বই ৩টি হলো বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা, বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এবং পৌরনীতি ও নাগরিকতা।

এনসিটিবির এক বিবৃতিতে বলা হয়, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনীর গণহত্যা শুরুর সময়, দেশের সংবিধান প্রণয়নের পটভূমি, ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে কয়টি দল নিয়ে যুক্তফ্রন্ট গঠিত হয়েছিল এবং অন্যান্য বিষয়ে ভুল ছিল।

তারা এসব বইয়ের জন্য মোট ৯টি সংশোধনী দিয়েছেন।

এ নিয়ে গত ২ জানুয়ারি প্রথম সংবাদ প্রচার করে চ্যানেল 24। চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের অনুসন্ধানে, নবম-দশম শ্রেণির তিনটি বইয়ে অসঙ্গতি মিলেছে ৩০ টিরও বেশি। যাতে সবচেয়ে বেশি ভুল ধরা পড়েছে, দেশের ইতিহাস, বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে লেখায়।

এর মধ্যে বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা বইয়ের ১৮১ নম্বর পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে- “১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ জুড়ে পাকিস্তান সামরিক বাহিনী নির্যাতন, গণহত্যা আর ধ্বংসলীলায় মেতে ওঠে।”

এখানে ভুল সংশোধন করে এখন লেখা হয়েছে- “১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ জুড়ে পাকিস্তান সামরিক বাহিনী নির্যাতন, গণহত্যা আর ধ্বংসলীলায় মেতে ওঠে।”

একই বইয়ের ২০০ পৃষ্ঠায় ভুল ধরা পড়েছে এই বাক্যে- “১২ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধান বিচারপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েমের কাছে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন।” সংশোধনে লেখা হয়েছে- “১২ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, রাষ্ট্রপতি আবু সাঈদ চৌধুরীর কাছে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন।”

ওই বইয়ের ২০২ নম্বর পৃষ্ঠায় ‘সংবিধান প্রণয়ন ১৯৭২ এর পটভূমি’ অংশের প্রথম অনুচ্ছেদের পরে যুক্ত হবে- “সংবিধান প্রণয়ন ১৯৭২ এর পটভূমি অংশের প্রথম অনুচ্ছেদের পরে যুক্ত হবে… ‘সংবিধান প্রণয়নে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শিক অবস্থান প্রতিফলিত হয়েছিল। সংবিধান প্রণয়নের ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুর সার্বক্ষণিক দিক-নির্দেশনা ছিল। তিনি সংবিধান কমিটিকে বিভিন্ন মৌলিক বিষয়ে প্রত্যক্ষ নির্দেশনা দিয়েছিলেন।”

এই বইয়ের আরেক ভুল পাওয়া গেছে ২০৩ নম্বর পৃষ্ঠায়। যেখানে ছাপা হয়েছে, পঞ্চম ভাগে জাতীয় সংসদ। সংশোধন হিসেবে লিখতে বলা হয়েছে, ‘পঞ্চমভাগে আইনসভা’।

একই শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বইয়ের তিনটি ভুল চিহ্নিত হয়েছে।

বইয়ের ছয় নম্বর পৃষ্ঠায় লেখা হয়েছে- “৫৪ সালের নির্বাচনে ৪টি দল নিয়ে যুক্তফ্রন্ট গঠিত হয়। দল চারটি হলো- আওয়ামী লীগ, কৃষক শ্রমিক পার্টি, নেজামে ইসলাম ও গণতন্ত্রী দল।”

এর সংশোধন হবে এভাবে- “৫৪ সালের নির্বাচনে ৫টি দল নিয়ে যুক্তফ্রন্ট গঠিত হয়। দল চারটি হলো- আওয়ামী লীগ, কৃষক শ্রমিক পার্টি, নেজামে ইসলাম, গণতন্ত্রী দল, পাকিস্তান খেলাফতে রব্বানী পার্টি।

একই বইয়ের ১৬ নম্বর পৃষ্ঠায় লেখা হয়েছে- “ঢাকার রাজারবাগ পুলিশ ক্যাম্প ও পিলখানা ইপিআর ক্যাম্প।”

যার সংশোধন হবে- “রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স ও পিলখানা ইপিআর সদর দপ্তর।”

ওই বইয়েরই ২৮ নম্বর পৃষ্ঠায় আছে- “সাধারণ মানুষের মৌলিক অধিকার সংরক্ষণ এ সংবিধানের প্রধান বৈশিষ্ট্য।”

সংশোধনীটি হচ্ছে, “সাধারণ মানুষের মৌলিক মানবাধিকার সংরক্ষণ এ সংবিধানের বৈশিষ্ট্য।”

নবম-দশম শ্রেণির পৌরনীতি ও নাগরিকতা বইয়ে ভুল চিহ্নিত করা হয়েছে দুটি।

বইয়ের ৫৭ নম্বর পৃষ্ঠায় ‘রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা ও কাজ’ এর ১ ক্রমিক এর অনুচ্ছেদ প্রতিস্থাপিত হবে এভাবে- “রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রের প্রধান সরকারের সকল শাসনসংক্রান্ত কাজ তার নামে পরিচালিত হয়। তিনি প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্র ব্যতীত তাঁর সকল দায়িত্ব পালনে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ অনুযায়ী কাজ পরিচালনা করেন। তিনি মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপ-মন্ত্রীদের নিয়োগ করেন। রাষ্ট্রের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের (মহা হিসাবরক্ষক, রাষ্ট্রদূত ও অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা) নিয়োগের দায়িত্বও রাষ্ট্রপতির। প্রতিরক্ষা কর্ম বিভাগসমূহের সর্বাধিনায়কতা রাষ্ট্রপতির উপর ন্যস্ত। তিন বাহিনীর (সেনা, বিমান ও নৌবাহিনী) প্রধানদের তিনিই নিয়োগ দেন৷”

এই বইয়ের ৫৯ পৃষ্ঠায় ‘প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা ও কাজ’ এর ১ নম্বর অনুচ্ছেদ প্রতিস্থাপিত হবে এভাবে- “প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিপরিষদের প্রধান। প্রধানমন্ত্রীর কর্তৃত্বে সংবিধান অনুযায়ী প্রজাতন্ত্রের নির্বাহী ক্ষমতা প্রয়োগ করা হয়। তিনি মন্ত্রিসভার সদস্যসংখ্যা নির্ধারণ করেন ও মন্ত্রীদের মধ্যে দপ্তর বণ্টন করেন। তিনি যে কোনো মন্ত্রীকে তার পদ থেকে অপসারণের পরামর্শ দিতে পারেন।”

সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর
ইঞ্জিনিয়ার মোঃ ওয়ালি উল্লাহ
নির্বাহী সম্পাদক
নিউজ রুম :০২-৯০৩১৬৯৮
মোবাইল: 01727535354, 01758-353660
ই-মেইল: editor@sristybarta.com
© Copyright 2023 - SristyBarta.com
Develop By : BDiTZone.com
themesba-lates1749691102