কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে নরসিংদীর জেলা কারাগার, জেলা পরিষদ, পাঁচদোনা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সসহ সরকারি বেসরকারী ৯টি প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নরসিংদী সদর থানা ও মাধবদী থানায় দায়ের করা নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া ৬ জন এইচএসসি পরীক্ষার্থীকে জামিন দিয়েছেন আদালত। তাদের পক্ষের আইনজীবীরা আদালতে জামিনের দরখাস্ত দাখিল করলে আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।
শুক্রবার (২ আগস্ট) নরসিংদীর অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নাহিদ নিয়াজীর আদালতে শুনানি শেষে শিক্ষার্থীদের এই জামিন মঞ্জুর করা হয়।
নরসিংদী জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট কাজী নাজমুল ইসলাম বলেন, ”সরকার চায় না শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবন অকালেই ঝরে পড়ুক। তাই সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থীদের কেউ গ্রেপ্তার হলে তাদের পরীক্ষার প্রবেশপত্র ও অন্যান্য কাগজপত্র সহকারে আদালতে জামিন আবেদন করলে জামিন ও মুক্তির বিষয়ে সরকার আইনি সহায়তা প্রদান করবেন।”
জামিন প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা হলো, কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর থানার বালিগাও এলাকার নজরুল ইসলাম খোকনের ছেলে মিনহাজুল ইসলাম আব্দুল্লাহ, নরসিংদী সদর উপজেলার বাসাইল এলাকার মৃত আলমগীর মিয়ার ছেলে লিমন মিয়া, একই উপজেলার বিরপুর এলাকার মির্জা সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে মির্জা সাদিকুর রহমান, টাউয়াদী এলাকার আতাউর রহমানের ছেলে সামিউল্লাহ সাকিব, রায়পুরা উপজেলার করিমগঞ্জ এলাকার রতন ভুইয়ার ছেলে রাতুল ভুইয়া ও পলাশ উপজেলার সাব্বির হোসেনের ছেলে আশরাফুল ইসলাম।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, সাম্প্রতিক সহিংস ঘটনায় আটককৃতের মধ্যে যদি কেউ চলমান এইচএসসি পরীক্ষার্থী থাকে, তারা পরীক্ষার প্রবেশপত্র ও প্রাসঙ্গিক কাগজপত্রাদিসহ জামিন আবেদন করে তাদের জামিনে মুক্তিতে সরকার আইনি সহায়তা প্রদান করবে।