নারায়ণগঞ্জের বন্দরে একটি পুকুর থেকে মো. তুহিন ইসলাম (১৮) নামে এক শ্রমিকের মাথাবিহীন লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিখোঁজের ৮০ পর বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) মদনপুর কেওঢালা এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত তুহিন রাজশাহীর তানোর থানার গকুল গ্রামের রকিবুল ইসলামের ছেলে। তিনি বন্দরের কেওঢালা এলাকার জাহের আলীর বাড়ির ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করতেন। পেশায় নির্মাণশ্রমিক ছিলেন।
ঘটনাস্থলে যাওয়া বন্দর থানার এসআই নেওয়াজ বলেন, স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মাথাবিহীন লাশ উদ্ধার করি। নিহতের স্বজনরা লাশ শনাক্ত করেছেন। ঠিক কেন এই হত্যাকাণ্ড হয়েছে তা জানার চেষ্টা করছি।
নিহতের মা শাহিনা বেগম বলেন, চার মাস ধরে তারা বন্দরের পশ্চিম কেওঢালা এলাকার রিপন মিয়ার বাড়িতে ভাড়ায় বসবাস করছি। ছেলে তুহিন ঠিকাদার শরিফ মিয়ার অধীনে কেওঢালা এলাকার জাহাঙ্গীরের বোনের নির্মাণাধীন ভবনে রাজমিস্ত্রির কাজ করতো। দুই মাস ২০ দিন আগে তুহিন সকালে কর্মস্থলের উদ্দেশে রওনা হয়ে আর বাসায় ফেরেনি।
তিনি আরও জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে নির্মাণাধীন ভবনের পাশের ডোবায় স্থানীয় ৫-৬ জন শিশু মাছ ধরতে নামে। এ সময় গলিত লাশ দেখে চিৎকার করলে স্থানীয় লোকজন ছুটে আসে এবং পুলিশে খবর দেয়। পরে তিনি গেঞ্জি পরা ছেলের লাশ শনাক্ত করেন। তার ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেন।
বন্দর থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহা জানান, পুলিশ ডোবা থেকে গলিত লাশ উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। কে বা কারা হত্যা করেছে এ বিষয়ে পরিবার কিছুই বলতে পারছে না। তবে তদন্তের পর রহস্য উদঘাটন করা যাবে।