নতুন জাগরণ তৈরিতে দ্রুতই খোঁজা উচিত ৫ সিনিয়রের বিকল্প।
টানা হারের বৃত্তে থাকা টাইগার স্কোয়াডকে ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগও দেয়নি করোনা। উল্টো মহামারিতে বন্ধ হয়েছে সব। দিন ফুরিয়ে আসছে পঞ্চপান্ডবেরও। তাদের বিকল্প যখন তৈরি করার কথা তখন করোনার ভয়ে কাবু বিসিবি। দেশের ক্রিকেটের ক্রান্তিকাল কাটাতে দ্রুতই পাঁচ সিনিয়রের বিকল্প খোঁজা উচিত বিসিবির মনে করেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ভাষ্যকার শামীম আশরাফ চৌধুরী।
ক্রিকেট। ১১ জনের খেলা। কিন্তু বাংলাদেশ দলে বহূ দিন, মাস, বছর সেটা যেন খেলেছেন কেবলই ৫ জন। মাশরাফি, সাকিব, তামিম, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহর কাধে ভর দিয়ে টাইগার স্কোয়াড বিশ্বকে চিনিয়েছে জাত; হয়ে উঠেছে নতুন পরাশক্তি।
এবার চোখ রাখা যাক পঞ্চপান্ডবের বর্তমান অবস্থায়। মাশরাফি খেলেন শুধুই ওয়ানডে। এই করোনায় সেটা থেকেও হয়তো অনানুষ্ঠানিক বিদায় হয়েই যাবে সাবেক ক্যাপ্টেনের।
এক বছরের নির্বাসনে ব্যাট বল ছুয়েই দেখা হয়নি সাকিবের। আর করোনাকালে তামিম শারীরিক অসুস্থতাসহ নানান কারণে অনুশীলনই করতে পারেননি। যদিও এই কদিন আগেই ব্যক্তিগত অনুশীলনে যোগ দিয়েছেন করোনার আগে একেবারেই ছন্দহীন থাকা ওয়ানডে অধিনায়ক।
বাকি মুশফিক আর রিয়াদ। দুই ভায়রাভাই ব্যক্তিগত অনুশীলন শুরুর আগে ঘরেও নিয়মিত করেছেন ফিটনেস ট্রেনিং। তারপরও ম্যাচ ফিটনেস ফিরে পাবার অপেক্ষায় ধুঁকছেন।
বাস্তবতা হলো ৫ কান্ডারির সবারই বয়স হয়েছে। আর কয় বছরই বা সার্ভিস দেবেন? প্রশ্ন ওঠা খুব স্বাভাবিক। যখন দিন ফুরাবে এই সিনিয়রদের সেই সময়টার জন্য কি প্রস্তুত টাইগার ক্রিকেট?
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ভাষ্যকার শামীম আশরাফ চৌধুরী বলেন, করোনার কারণে আমরা অনেক পিছিয়ে গেছি। সেই জায়গা থেকে বেরিয়ে আসতে হলে আমাদের একবারে রুট লেভেল থেকে শুরু করে অনুর্ধ্ব-১৬, ১৯ এর পাইপ লাইনটা শক্ত করতে হবে। তা না হলে ভবিষ্যতে যে কোন ফরম্যাটে আমাদের একটি ভালো দল গড়তে অনেক সমস্যা হবে।
যখন থাকবে না পঞ্চপান্ডব, তখন টিম টাইগারের তরি বাইতে দরকার নতুন প্রতিভা। সমর্থকরা সেই কান্ডারিদের অপেক্ষায়। বাকি কাজটা করতে হবে বোর্ডেরই।
শামীম আশরাফ চৌধুরী বলেন, পাইপ লাইনে যারা আছে তাদের জায়গা যারা নিবে তাদের প্রস্তুত করার জন্য যে পদক্ষেপগুলো নেয়া উচিত। সেদিকে আমাদের এখনই নজর দিতে হবে।
কিন্তু তামিমদের বিকল্প খোঁজার কথা মেলা দিন ধরে শুনিয়ে আসছে বিসিবি। বাস্তবে মেলেনি তেমন কেউ। আর ৫ সিনিয়রের পর দল যাদের দিকে তাকিয়ে সেই সৌম্য, লিটন, কিংবা মিরাজ, মুস্তাফিজদের পরিচর্যাওতো নেই তেমন। তাহলে কি বাংলাদেশের ক্রিকেট পিছিয়েই গেল কয়েক বছর?