মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার হাড়াভাঙ্গা গ্রামে পরকীয়া এক জুটিকে বেঁধে রেখে রাতভর নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয়দের বিরুদ্ধে।
শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে ওই গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তবে তাদের বেঁধে রাখার ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এখন ভাইরাল।
নির্যাতনের শিকার দুজন হলেন, হাড়াভাঙ্গা গ্রামের মতিয়ার রহমানের ছেলে মিজানুর রহমান ও স্থানীয় এক সৌদি প্রবাসীর স্ত্রী।
জানা গেছে, নির্যাতনের শিকার নারীর স্বামী সৌদি প্রবাসী। এর মাঝে এলাকার ব্যবসায়ী মিজানের সঙ্গে তার সম্পর্ক গড়ে তোলে। তাদের চলাচল সন্দেহজনক হওয়ায় স্থানীয় লোকজন হাতেনাতে ধরার পরিকল্পনা করে। পরে শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১১টায় তারা দুজনকে একসঙ্গে পাওয়া মাত্রই দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখে।
এদিকে এ ঘটনায় রোববার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে উভয়পক্ষের লোকজন সালিস বৈঠকে মিলিত হয়। বৈঠকে ওই নারী জানান, আমাকে মিথ্যা কলঙ্কের জালে ফাঁসাতেই এমন অভিযোগ করছে স্থানীয়রা। গেল রাতে আমার ঘরে জোর পূর্বক প্রবেশ করে মিজান। সে আসার সঙ্গে সঙ্গে আমার শ্বশুর বাড়ির লোকজন আমাকে সংসার ছাড়া করতে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছে।
তিনি আরও জানান, তাদের শুধু বেঁধেই রাখা হয়নি। শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনও করা হয়েছে।
গ্রাম্য সালিসে উপস্থিত ইউপি সদস্য মহিবুল ইসলাম জানান, উভয়পক্ষের লোকজন তাদের ব্যাপারে একমত না হতে পারায় বৈঠক স্থগিত করে মিজানের দুলাভাইয়ের জিম্মায় দেওয়া হয়। অপরদিকে ওই নারীকেও তার দুলাভাইয়ের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।
গাংনী থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক জানান, ঘটনাটি শুনেছি। কিন্তু উভয়পক্ষের কেউ আমাদের কাছে এ পর্যন্ত অভিযোগ করেনি। তাই পুলিশের কোনো ভূমিকা নেই।