পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলায় পুলিশ সদস্যদের পেটানোর পর এখন রাতে সেই দুই গ্রাম পুরুষ শূন্য হয়ে পড়েছে। উপজেলার দিলপাশার ইউনিয়নের বেতুয়ান ও পাশের ফরিদপুর উপজেলার সদর ইউয়িনের বিএলবাড়ি গ্রামের পুরুষেরা গ্রেপ্তার এড়াতে রাতে নিজ বাড়িতে না থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সড়ক দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত বুধবার সকাল ১০টার দিকে ভাঙ্গুড়া উপজেলার দিলপাশার ইউনিয়নের বেতুয়ান গ্রামের জনতা ও পাশের ফরিদপুর ইউনিয়নের বিএলবাড়ি গ্রামের জনতা সংর্ঘষে জড়িয়ে পড়ে। উভয় গ্রামে সংর্ঘষের মাইকিং করলে দুই গ্রামের পাচঁ শতাধিক মানুষ লাঠিসোটা নিয়ে রাস্তায় বেড়িয়ে আসেন। খবর পেয়ে ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন ও ফরিদপুর থানার ওসি মো. মাসুদ রানার নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উভয়পক্ষকে শান্ত হতে পরার্মশ দেন। এ সময় পুলিশ উত্তেজিত দুই গ্রামের জনতার মাঝে দাঁড়ালে জনতার লাঠির আঘাতে ভাঙ্গুড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নাজমুল হকসহ চার পুলিশ সদস্য আহত হন। পুলিশ আহত হলেও উত্তেজিত জনতাকে বড় ধরনের সংঘর্ষ ঘটাতে দেয়নি।
পরে পুলিশের ওপর লাঠিচার্জ ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার ঘটনায় বেতুয়ান গ্রামের ১৪ জন ও বিএলবাড়ি গ্রামের ছয় জনসহ মোট ২০ জনকে আসামি করে এসআই ইব্রাহিম খলিল বাদী হয়ে ভাঙ্গুড়া থানায় মামলা দায়ের করেন। এরপর শনিবার পর্যন্ত উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদকসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে গ্রেপ্তার এড়াতে ওই দুই গ্রামের পুরুষেরা রাতে বাড়িতে না থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বলে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে।
ঘটনার বিষয়ে ভাঙ্গুড়া থানার ওসি মুহম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’