প্রায় ৬০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়েও শেষরক্ষা হলো না। অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশের পরই পশ্চিমবঙ্গের পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন ছাত্রলীগের নেতা আব্দুল কাদির।
মুর্শিদাবাদ জেলার রঘুনাথগঞ্জ থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস ও আনন্দবাজার পত্রিকা।
পুলিশ জানিয়েছে, ২৭ বছর বয়সী আব্দুল কাদিরের বাড়ি বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জ জেলায়। ভারতে প্রবেশের সময় তার কোনো বৈধ পাসপোর্ট বা ভিসা ছিল না। অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে ১৪ ফরেনার্স আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সেই মামলায় রোববার (১১ আগস্ট) আব্দুল কাদিরকে মুর্শিদাবাদ জেলার জঙ্গিপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়।
এসময় আব্দুল কাদির বলেন, ‘আমার বাড়ি নারায়ণগঞ্জে। ফিরোজপুর সীমান্ত দিয়ে ভারতের প্রবেশের পরই আমাকে বিএসএফ আটক করে। আমি ছাত্রলীগ করি। আমাকে প্রচণ্ড মারধর করা হয়। তাই ভয়ে পালিয়ে এসেছি। ’
কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে বলা হয়, বাংলাদেশে হাসিনা সরকারের পতনের পর নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে দেশ ছেড়েছেন আওয়ামী লীগের বহু নেতা-কর্মী। অনেকেই সীমান্ত লাগোয়া গ্রামে আত্মগোপন করার চেষ্টা করেছেন। এই পরিস্থিতিতে বিএসএফও তটস্থ ছিল। নজরদারি বাড়ানো হয় সীমান্ত এলাকায়। এর মধ্যেই গোপন সূত্রে খবর মেলে, রঘুনাথগঞ্জ থানা এলাকায় বয়রাঘাট সীমান্তে আউটপোস্টের কাছে একটি গ্রামে গত চার দিন ধরে গা-ঢাকা দিয়ে রয়েছেন কাদির। এর পরেই বিএসএফের ১১৫ নম্বর ব্যাটেলিয়নের জওয়ানেরা গ্রামে তল্লাশি চালিয়ে তাকে আটক করে।
কাদির বাংলাদেশ ছাড়েন গত ৬ আগস্ট। সড়কপথ, জলপথ, এমনকি বেশ কিছুটা পথ সাঁতরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে আশ্রয় নেন তিনি। এরপর সুযোগ বুঝে অবৈধভাবে মুর্শিদাবাদে ঢুকে পড়েন।