চট্টগ্রামে দুর্গোৎসবের মঞ্চে একদল তরুণের ইসলামী সংগীত পরিবেশন নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনা চলছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের আয়োজনে নগরের জেএম সেন হলের শারদীয় দুর্গোৎসবের মঞ্চে এ ঘটনা ঘটে।
ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, পাঁচজন মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে ‘শুধু মুসলমানের লাগি আসেনিকো ইসলাম, বিশ্ব মানুষের কল্যাণে স্রষ্টার এই বিধান’ শিরোনামে একটি ইসলামী সংগীত পরিবেশন করছেন। আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায়, ওই তরুণরা ‘গ্রামের নওজওয়ান, হিন্দু মুসলমান’ গানটি গাইছেন।
এই গানের ভিডিওতে ইসলামি ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে অনেককেই সমালোচনা করছেন। কিন্তু এই ব্যাপারে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।
ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জরুল ইসলাম জানিয়েছেন, ‘চট্টগ্রামে পূজা অনুষ্ঠানে গান গাওয়া নিয়ে ছাত্রশিবিরের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।’ নিজের ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছেন তিনি।
পরে শিবিরের সেক্রেটারি জাহিদুল ইসলামও একটি বিবৃতি দিয়েছেন। তিনি নিজের ভেরিফায়েড পেইজে লিখেছেন, চট্রগ্রামে পূজামণ্ডপে গান গাওয়া নিয়ে অনেকেই ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে সোস্যাল মিডিয়ায় লিখছেন। আমি দায় নিয়ে বলছি, এর সাথে ছাত্রশিবিরের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
তিনি আরও লিখেছেন, শিবির কারও ধর্মীয় অনূভুতিতে আঘাত করে এমন কাজকে কখনোই সমর্থন করে না। তাই এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
আরেকটি পয়েন্ট উল্লেখ করে জাহিদুল ইসলাম লেখেন, ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে স্পষ্ট দাবি জানাচ্ছি, একটি নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটির মাধ্যমে প্রকৃত সত্য সবার সামনে উঠে আসুক। কেউ দোষী হলে তাকে অবশ্যই আইনের আওতায় নিয়ে এসে শাস্তি দেওয়া হোক।
পরে তিনি আরও লেখেন, সত্যতা যাচাই না করেই যারা বিভিন্ন সময়ে শিবিরকে জড়িয়ে মিথ্যা প্রচারণা চালায়, তারা একটা সময় গিয়ে নিজেদের বিবেকের কাছেই প্রশ্নবিদ্ধ হবেন। এ ধরণের কাজ থেকে ভবিষ্যতে বিরত থাকার অনুরোধ করছি।
এদিকে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) লিয়াকত আলী জানান, ‘যারা ইসলামী সংগীত পরিবেশন করেছেন তারাও পূজামণ্ডপ পরিদর্শনে এসেছিলেন। পূজা উদযাপন পরিষদের অনুমতি নিয়ে তারা সেখানে ইসলামী সংগীত পরিবেশন করেছেন। তা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হইচই হচ্ছে। কিন্তু এখানে কোনো সমস্যা নেই।’