বাংলাদেশের সকল জেলায় কয়েকদিন থেকে পেঁয়াজের দাম বেড়েই চলেছে। হঠাৎ করে পেঁয়াজের এমন করে দাম বেড়ে যাওয়ার কারন হিসেবে উল্লেখ করা হচ্ছে প্রতিবেশী দেশ ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করেছে তাই দাম বেড়েছে।
৬-৭ দিন পূর্বেও যে পেঁয়াজের দাম ছিল ২৫-৩০ টাকার মধ্যে তা আবার লাগামহীন ভাবে বেড়ে ৬০-১৩০ টাকায়।
হঠাৎ করে পেঁয়াজের লাগামহীন দৌড়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যেও উপরও প্রভাব পড়ছে।
করোনা ভাইরাসে যখন সারা বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশও প্রায় ৭মাস থেকে ঘ্রাস হয়ে মানুষ কর্মহীন, অভাবগ্রস্ত তা থেকে পরিত্রাণের পূর্বেই আবারও দেশে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি যা অমানবিক আর বিবেকহীন ব্যবসায়ীদের জুলুম নির্যাতনের অংশ বলা ছাড়া কোন উপায় নেই ।
বিভিন্ন গণমাধ্যমের সূত্রে সারাদেশে পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধির বিষয় উঠে এসেছে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে আলোচনার সমালোচনা বেড়েই চলেছে।
দেশে শুধু পেঁয়াজে কেলেঙ্কারি নয় একের পর এক ঘটনা দূর্ঘটনা ঘটছে প্রতিনিয়ত। কল্লাকাটা গুজব, ক্যাসিনো, করোনা সাহেদ, জাল সার্টিফিকেট, লঞ্চ ডুবি, মৎস পুরুষের আবির্ভাব নানা ঘটনা একের পর এক ঘটেই চলেছে।
এসব ঘটনা সাধারন মানুষের মনে দেশের স্বাভাবিক অবস্থা নিয়ে নানা প্রশ্নের তৈরী করে যা রাষ্ট্রের ভাবমূর্তিতে আঘাত নয় কি?
এদিকে পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধির কারন হিসেবে ভারতের পেঁয়াজের রপ্তানি বন্ধ তাই বলা হচ্ছে। বাংলাদেশে কি পেঁয়াজের কোন অভাব রয়েছে? যে আমদানি বন্ধ হলেই দাম লাগামহীন হয়ে যাবে? কিসের যুক্তিতে এসব বলা হয় বোধে আসেনা। দেশের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে বারবার বলা হয় দেশে খাদ্যের কোন সংকট নেই।
তাহলে কেন বিভিন্ন ইস্যু তৈরী করে অসাধু ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট তৈরী করে সাধারন মানুষসহ দেশে জনগনকে জিম্মি করার সুযোগ পায়। কেন অবৈধ সিন্ডিকেট ভেঙ্গে দিয়ে এদের শাস্তির ব্যবস্থা করে এসব বন্ধ করা হয় না?
পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধির পূর্বে ও পরে প্রত্যেক জেলায় ম্যাজিস্ট্রেটগণ ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বাজার মনিটরিং জেল জরিমানা অব্যাহত রেখেছেন যা প্রশংসনীয়।
এত অভিযানের পরেও কেন অবৈধ ব্যবসায়ী ও সিন্ডিকেট কারীরা এসব করার সুযোগ পায় সেই প্রশ্নও জেগে ওঠে।
আজকেও সারাদেশে অভিযান জরিমানা করা হয়েছে। তারপরেও পেঁয়াজের মূল্য বেড়েই চলেছে।
পেয়াজ তেলেসমাতি দ্রুত বন্ধ না হলে করোনা মহামারিতে সাধারন জনগনকে সরকার তথা রাষ্ট্রের করা প্রশংসনীয় কাজ গুলোও প্রশ্ন বৃদ্ধ হবে।
তাই দ্রুত সারাদেশে অবৈধ ভাবে পেঁয়াজসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি মজুদ কারীদের আইনের আওতায় আনা এবং এদের চিহ্নিত করে মুখোশ উন্মোচন করে সর্বোচ্ছ শাস্তির ব্যবস্থা করার দাবী জানাই।
প্রসঙ্গত, গত বছর এই সেপ্টেম্বর মাস থেকেই ৩০ টাকা কেজি দরের পেঁয়াজের দাম কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়ে তিনশ‘ টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছিল।
২০২০ ইং সালের এই সেপ্টেম্বর মাসে আবারও সেই পেঁয়াজের কেলেঙ্কারি। দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করে করোনা মহামারিতে কর্মহীন ও অসহায় হয়ে পড়া জনগনকে পেয়াজ তেলেসমাতি থেকে রক্ষার জোড় দাবি জানাই ।
লেখক
মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন চৌধুরী
গণমাধ্যম কর্মী ও
কো- অর্ডিনেটর সৃষ্টি হিউম্যান রাইটস সোসাইটি।