হত্যার চেষ্টা, অমানবিক নির্যাতন এবং পরিকল্পিত মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো অভিযোগে কক্সবাজারের টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা হয়েছে আদালতে।
মঙ্গলবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকালে জেষ্ঠ্য বিচারিক হাকিম (টেকনাফ-৪) তামান্ন ফারাহ আদালতে এ মামলাটি দায়ের করেন সদ্য জমিনে মুক্ত সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফা।
মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের নিদের্শ দেওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী মো. ইমরুল শরীফ।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, বিভিন্ন সময় ওসি প্রদীপের হত্যা বাণিজ্য, মাদক ব্যবসা সংশ্লিষ্ট সংবাদ প্রকাশের ক্ষিপ্ত হয়ে ওসি তার বিরুদ্ধে তিনটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। একই সময় তাকে হত্যার হুমকি দেন।
এতে আর্তকিত হয়ে ফরিদুল মোস্তফা ঢাকায় পালিয়ে যায়। কিন্তু গত ২০১৯ সালের ২১ সেপ্টেম্বর টেকনাফ থানার পুলিশ তাকে আটক করে কক্সবাজার নেয়। তাকে ধারাবাহিক হত্যা চেষ্টা, অমানবিক নির্যাতন চালানোর পর আরও তিনটি মিথ্যা মামলা করে মাদক ও অস্ত্র দিয়ে আদালতে সোপর্দ করে। তখন থেকে কারাগারে থাকলেও গত ২৭ আগস্ট জামিনে মুক্ত হন ফরিদুল মোস্তফা।
অভিযুক্ত ৩০ জনের মধ্যে ২৬ জন পুলিশ সদস্য, অন্যান্যরা টেকনাফের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা।
প্রসঙ্গত, গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।
এ ঘটনায় সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে গত ৫ আগস্ট কক্সবাজারের জেষ্ঠ্য বিচারিক হাকিম (টেকনাফ-৮) আদালতে ৯ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এ মামলাসহ এখন পর্যন্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশের বিরুদ্ধে হত্যাসহ ১১টি অভিযোগ দায়ের হলো।