প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অবমাননা করে বক্তব্য দেওয়া নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও বারদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহাবুবুর রহমান বাদলকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের সুপারিশ করা হবে বলে জানিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।
বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক এম এ রাসেল স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে অব্যাহতির বিষয়টি জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে বারদী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান বাবুল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা ক্ষমার অযোগ্য। দলীয় মনোনয়ন পেয়ে চেয়ারম্যান হয়ে বাবুল দলীয় শৃঙ্খলা বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েছেন।
নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবদুল হাই ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু হাসনাত মো. শহিদ বাদল বিবৃতিতে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অবমাননা করে বক্তব্য দেওয়ায় নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে তাকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। স্থায়ী বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ বরাবর চিঠি দেওয়া হয়েছে।’
এর আগে, ১২ ফেব্রুয়ারি সোনারগাঁও উপজেলার বারদী ইউনিয়নের পাইকপাড়া দেওয়ান বাড়ির বাৎসরিক ওয়াজ মাহফিলে চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মাহবুবুর রহমান বাবুল প্রধানমন্ত্রীকে অবমাননা করে বক্তব্য দেন। সেখানে তিনি বলেন, ‘আমাকে কেউ টাকা দিয়ে কিনতে পারবে না। আমার এলাকায় আমি ম্যাজিস্ট্রেট। আমি যা বলবো তাই হবে। আমি যদি সুইচ অফ বলি তাহলে সেটাই হবে। প্রশাসন আমার পক্ষে কাজ করবে। কারও ফোনে প্রশাসন আসবে না। ১৯৭৪ সালের পর বারদীতে কেউ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান হয়নি। এটা আপনাদের গর্ব, আপনাদেরকেই ধরে রাখতে হবে। আগের দিন ভুলে যেতে হবে। আমি শুধু চেয়ারম্যান না, আমি আপনাদের বাবুল। শান্তির বাজারে শান্তি থাকবে। বাইরে থেকে কেউ এসে ঝামেলা করলে হাত পা ভেঙে ফোন দেবেন। আমি উদ্ধার করবো। হাত পা না ভেঙে আমাকে ফোন দেবেন না। হাতে চুড়ি পরে বসে থাকবেন না। আমি আমার যোগ্যতায় চেয়ারম্যান হয়ে এসেছি। তাই কাউকে পরোয়া করি না।’
উল্লেখ্য, ইউপি নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী ছিলেন। প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় তিনি বিনা ভোটে চেয়ারম্যান হন।