করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে গণপরিবহনের ৬০ শতাংশ বাড়তি ভাড়ায় অর্ধেক যাত্রী নিয়ে বুধবার (৩১ মার্চ) সকাল থেকে শুরু হয়েছে গণপরিবহন চলাচল। কিন্তু অফিস-আদালত, শিল্প, কল-কারখানা খোলা রেখে সরকারের এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় পরিবহন সংকটে দুর্ভোগ ও ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের।
এ বিষয়ে যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী এক ভিডিও বার্তায় বলেছেন, দেশব্যাপী লকডাউন ঘোষণা না করে বা সাধারণ ছুটি না দিয়ে জনসাধারণের স্বাভাবিক পরিস্থিতি রেখে গণপরিবহনে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে যে নিদের্শনা দেওয়া হয়েছে তা গণবিরোধী ও অদূরদর্শীতা। যেসব নিয়ম মেনে ৬০ শতাংশ ভাড়া বাড়ানো হয়েছে তা তো মানা হবেই না, বরং অতিরিক্ত ভাড়া আদায় হবে।
তিনি বলেন, আমরা আজকে সকাল থেকে অনেক জায়গায় খোঁজ নিয়েছি এবং পর্যবেক্ষণ করেছি, শুধুমাত্র অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ে হচ্ছে। জনগণও ভাড়া দিচ্ছে। একই সাথে সরকারি যে বিধিনিষেধগুলো দেওয়া আছে সেগুলো কোনটাই মানা হচ্ছে না। কোনও কোনও বাসে যত সিট তত যাত্রী। আবার কোনও কোনও বাসে অতিরিক্ত যাত্রীও নেওয়া হয়েছে।
মোজাম্মেল হক চৌধুরী আরও বলেন, ৯৫ শতাংশ বাসে কোনও ধরনের স্বাস্থ্য বিধি মানার বালাই নেই। বর্তমানে যে বিধিনিষেধগুলো দেওয়া হয়েছে সেগুলো থেকে সরে আসার জন্য সরকারকে অনুরোধ করছি।
গাড়ির সিট ক্যাপাসিটি মেনে যাত্রী পরিবহন করে যদি কঠোর স্বাস্থ্যবিধি যদি মানা হয় তাহলে সেটা জনসাধারণের জন্য স্বস্তিধায়ক হবে। এতে করে জনগণের যাতায়াতের সংকট কাটবে এবং করোনার মধ্যে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য থেকে জনসাধারণের মুক্তি মিলবে। আশা করি সরকার বিষয়টি বিবেচনায় নেবে।