ads
সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫, ১০:১৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
প্রেস ক্লাবের সামনে আন্দোলনকারীদের ওপর জলকামান-সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ সার্বভৌমত্ব রক্ষায় নবীন কর্মকর্তাদের প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের স্বৈরাচারের দোসর আরও ৩৯ আমলার দ্রুত অপসারণ দাবি জুলাই ঐক্যের ধর্ষণের পর গর্ভপাত: সালিশে ব্যর্থ, মামলাও নেয়নি পুলিশ হামলা ঠেকাতে ইসরায়েলের ব্যয় দিনে ২০০ মিলিয়ন ডলার ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরায়েলের হামলা বিপজ্জনক নজির: জাতিসংঘে চীনা দূত বেদখল খাসজমি উদ্ধারে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ ভূমি উপদেষ্টার বান্দরবানের লামায় সেনাবাহিনীর অভিযান, ৯ সন্ত্রাসী আটক দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে ট্রেনে কাটা পড়ে নারীর মৃত্যু শ্রীবরদীতে মাছের ঘেরে ২ শিশুর মরদেহ, দুর্ঘটনা নাকি হত্যাকাণ্ড!

বরগুনার সাবেক ইউএনও-ওসিসহ চারজনের নামে মামলা

রিপোর্টারের নাম
  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ৩ মার্চ, ২০২৫
  • ২৫ বার পঠিত

বরগুনা সদর উপজেলার সাবেক নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে তথ্য চাওয়ার অপরাধে এক সাংবাদিককে আটক রেখে এক লাখ টাকা চাঁদা চাওয়ার অভিযোগে চার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

সোমবার (৩ মার্চ) বরগুনার জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শেখ আনিসুজ্জামান মামলাটি গ্রহণ করে পুলিশ ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (পিবিআই) পটুয়াখালীকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

আসামিরা হলেন- বরগুনা সদর উপজেলার সাবেক ইউএনও (বর্তমানে হাতীবান্ধা) মো. শামীম মিয়া (৩৮), বরগুনা সদর থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ট্যুরিস্ট পুলিশ ঢাকা হেডকোয়ার্টার ইন্সপেক্টর) আবুল কাসেম মো. মিজানুর রহমান (৫০), বরগুনা সদর উপজেলার সাবেক প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (বর্তমানে ভোলা সদর) মো. জিয়াউর রহমান (৪৪) ও বরগুনা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. সোহেল রানা (৪৫)।

মামলা সূত্রে জানা যায়, বরগুনা কেজি স্কুল রোডের আবদুল মান্নানের ছেলে অপরাধ বিচিত্রার সাংবাদিক মো. রাশেদুল ইসলাম রাশেদ অভিযোগ করেন, ২০২৪ সালের ২৪ জুলাই দুপুর অনুমানিক ১২টার দিকে বরগুনা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কক্ষে যান। বাদী তার কাছে দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে বরাদ্দকৃত কাবিখা ও কাবিটা প্রকল্পের অধীন বরগুনায় ৫ কোটি ৫ লাখ ২৫ হাজার টাকার কাজে অনিয়ম ও দুর্নীতির তথ্য চান। তিনি বাদীকে আংশিক তথ্য দিয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কক্ষে যেতে বলেন। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বাদীকে দুদিন পর আসতে বলেন। বাদী দুদিন পর আবার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কক্ষে যান। প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বাদীকে অনেকক্ষণ বসিয়ে রেখে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কক্ষে চলে যান। প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বাদীকে জানান তাকে কোনো তথ্য দেওয়া হবে না। এ সময় বাদী প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে বলেন, আমার কাছে কিছু তথ্য আছে। এ তথ্য দিয়ে নিউজ করা যাবে। এমন সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম মিয়া প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কক্ষে আসেন। তিনি নির্দেশ দেন বাদীকে ধরার জন্য। আনসার সদস্যরা বাদীর জামার কলার ধরে টেনে-হিঁচড়ে শামীম মিয়ার সরকারি গাড়িতে উঠান।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বাদীকে বলেন, এক লাখ টাকা চাঁদা দিলে ছেড়ে দেবে। চাঁদা না দিলে সরকারি কাজে বাধাসহ বিভিন্ন মামলায় জড়িত করবো। বাদী চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় শামীম মিয়ার সরকারি গাড়িতে বরগুনা থানায় পাঠিয়ে দেন। বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কাসেম মিজানুর রহমান ও এসআই সোহেল রানা বাদীকে দুপুর ১টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত অন্যায়ভাবে থানায় আটক করে রাখেন।

বাদী বলেন, বরগুনা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম মিয়া ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার নির্দেশে এসআই সোহেল রানা আমার আইডি কার্ড জব্দ করেন। আমার ফোনে ৫ কোটি টাকার দুর্নীতির গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ছিল তা মুছে ফেলেন। পতিত শেখ হাসিনার আমলে ওই আসামিরা ক্ষমতা দেখিয়ে আমার মানসম্মান নষ্ট করেছে। ওই চারজন আসামি আমাকে থানা হাজতে আটক রেখে ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেন। এতে আমি সামাজিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হই। বরগুনার সাংবাদিকরা জানতে পেয়ে বরগুনা থানায় আসেন। পরে আসামিরা আমার মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেন।

এ ব্যাপারে সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম মিয়া বলেন, ঘটনাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। কোনো ঘটনা ঘটলে তিনি তাৎক্ষণিক আইনের আশ্রয় নিতে পারতেন। একজন নাগরিকের মামলা করার অধিকার আছে। আদালত তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। তদন্তে প্রমাণিত হবে আমি দোষী কিনা।

বরগুনা থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কাসেম মিজানুর রহমান বলেন, ও সেই ব্যাপার। রাশেদকে আমার থানায় রাখছিল। পরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা হবে কেন। আমি কী দোষ করেছি।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জিয়াউর রহমানকে ফোন কল করে পাওয়া যায়নি।

সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর
ইঞ্জিনিয়ার মোঃ ওয়ালি উল্লাহ
নির্বাহী সম্পাদক
নিউজ রুম :০২-৯০৩১৬৯৮
মোবাইল: 01727535354, 01758-353660
ই-মেইল: editor@sristybarta.com
© Copyright 2023 - SristyBarta.com
Develop By : BDiTZone.com
themesba-lates1749691102